সেলিম মাহবুব,:
ছাতকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ধনীটিলা নামের পাহাড়। বিভিন্ন কৌশলে সরকারি এই সম্পত্তি ষ্ট্যাম করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে। সরেজমিন দেখা গেছে পাকা পিলার পুতে কয়েকটি প্লট করা হয়েছে। একেক প্লট একেক জনের কাছে বিক্রি করেছেন ঐ মুক্তিযোদ্ধা। যদিও লিজ কিংবা ভাড়া ব্যতিত এসব সম্পত্তির হাত বদলে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আইন-কানুনের ভ্রুক্ষেপ না করে চলছে দখল হস্তান্তর প্রক্রিয়া। সরকারি সম্পত্তি বিক্রির অর্থে পকেট ভরছে স্থানীয় ঐ মুক্তিযোদ্ধা। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় আরেক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ছাতকের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের টিলা দখলে নেয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তার দাবি এটি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ধনীটিলা। গ্রামটিতে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন। টিলায় কালি মন্দির নামে তাদের ধর্মীয় একটি মন্দির রয়েছে বলে জানান মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন। এই টিলাতে মজুদ রয়েছে কয়েক লক্ষ টন পাথর। যা সরকারি খনিজ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। পাথর সমৃদ্ধ এই টিলা ৯০ দশক থেকে দখল করে নেন এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা ইন্তাজ আলী, আঞ্জব আলী, আজির উদ্দিন ও আব্দুস সামাদসহ মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্যে বেশীরভাগ টিলা দখলে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী। টিলার বেশির ভাগ ভূমি দখল করে দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করছেন তিনি। কাঁঠাল বাড়ি গ্রামের মুছা এবং পাড়ুয়া গ্রামের ফারুক ও অন্যান্যজনকে গত রোববার দখল হস্তান্তর করার কথা ছিলো মুক্তিযোদ্ধা আঞ্জব আলীর দখলে থাকা ২ একর টিলা ভুমি। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞাত কারনে তিনি এই দখল হস্তান্তর বন্ধ রেখেছেন। উল্লেখ্য টিলাটিতে ১২ একর ভূসম্পত্তি রয়েছে। যার পুরোটাই পাথর সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদ। কাজেই এই টিলা কাউকে বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছেনা। এখানে একটি সরকারি হেলিপোর্টও রয়েছে। এ টিলার ভুমি দখল করে কয়েকটি পরিবার এখানে বসবাস করছে। এরমধ্যে অনেকেই টিলার খনিজ সম্পদ উত্তোলন করছে চোরাই পথে। যার চিহ্ন টিলায় বিদ্যমান রয়েছে
।