শিরোনাম
কাভার্ডভ্যান ও ইছার মাথা (ট্রাক্টর) মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত দুই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিশন ও ভিশন নির্ধারণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার হাজী ইয়াছিন ইসি’র অধীনে এনআইডি চাই: ঝিনাইগাতীতে মানববন্ধন  সেই ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি, অতঃপর সাজেকে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুড়া পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বিজিবি  গোয়াইনঘাটে ১২ কোটি টাকার চো রা ই পণ্যের চালান জ*ব্দ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থীদের প্রচানায় সরগম স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে সিলেটে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক কৃষণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

দুই সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৮ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত আরও দুটি কমিশন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ দুটি কমিশন হলো জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। দুই কমিশনের প্রতিবেদনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রশাসন ও শাসন কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-পুরোনো চারটি বিভাগ নিয়ে পৃথক চারটি প্রদেশ গঠন এবং ঢাকা ও আশপাশের এলাকা নিয়ে ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ বা ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠন। এছাড়া বাধ্যতামূলক অবসর বাতিল, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা কমিয়ে আনা, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে ওএসডি না করার সুপারিশও করা হয়েছে। অন্যদিকে আদালতের রায়ে চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে ক্ষমা প্রদর্শনের। এছাড়া দেশের সব প্রশাসনিক বিভাগে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করতে সংবিধান সংশোধনসহ ২৮ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

আমরা জানি, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর দেশে সর্বক্ষেত্রে সংস্কারের যে তাগিদ অনুভূত হয়, তা থেকেই গঠিত হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। আশার কথা, বেশ কয়েকটি কমিশন ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বাকি কমিশনগুলোও শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা যায়। সংস্কার হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি নির্ধারণ করে ক্রমান্বয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ করেছে, সেগুলোর কোন্টি গ্রহণ করা হবে, কোন্টি হবে না, তা সব স্টেকহোল্ডারের মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক এবং সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সংস্কার কমিশনগুলো যেসব সুপারিশ করেছে, সেগুলো পরবর্তী সংসদে অনুমোদনের দরকার হবে। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না। সংস্কারের প্রতিটি স্তরে জনগণের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই মতামত সংস্কার প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ