শিরোনাম
ছাতকে আড্ডাঘর নিয়ে মামন্দপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫ ছাতক থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নিয়মিত মামলার এক আসামী গ্রেফতার   সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ১   বিউটি অফ ঝিনাইগাতী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৩য় বর্ষ উপলক্ষে জন্মদিন পালিত! নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাড়ে ৩শ’একর জমি বন্দোবস্ত দেয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  সিলেট জেলা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আলোচনা সভা  ছাতক সদর ইউনিয়নে আল ফজল ফাউন্ডেশনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ   ছাতকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে  র‍্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত   গোয়াইনঘাটের সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানালেন চোরাচালানের সাথে থানার ওসি নিজেই জড়িত: আমি হাত খরচ পাই তাহিরপুরে শ্রমিকদলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপন 
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

গোয়াইনঘাটের সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানালেন চোরাচালানের সাথে থানার ওসি নিজেই জড়িত: আমি হাত খরচ পাই

স্টাফ রিপোর্টার / ৭৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক::

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের আইসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন। যেখানে সব সময় পুলিশের একজন এসআই দায়িত্ব পালন করেন আইসি হিসাবে। সেখানে জেলার এসপি এলাকার আইনশৃঙ্খলা আর চোরাচালান বন্ধ করতে দায়িত্ব দিয়েছেন একজন ওসি কে। যাতে এলাকার আইন শৃঙ্খলা সহ কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট রোড হয়ে সিলেটে কোন ধরণের চোরাচালানের পন্য না আসে। কিন্তু আসলেই কি ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন চোরাচালান প্রতিরোধ করতে পারছেন, নাকি তিনি নিজেই চোরাকারবারীদের শেল্টার দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের। তবে আব্দুল্লাহ আল মামুন সরাসরি বলছেন, তিনি থানার ওসির থেকে সিনিয়র এএসপির তালিকায় তার নাম রয়েছে। যে কোন সময় প্রমোশন হলে তিনি সিলেট থেকে চলে যাবো। কারণ থানার ওসি যেখানে আমার জুনিয়র, সেখানে আমি তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করছি। এটা অপমানজনক,তিনি আরো বলেন, যেখানে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল নিজেই হাদারপারের চোরাচালানের লাইন বন্ধ করতে পারেননা, সেখানে আমি কি করবো। ওসি হাদারপারে চোরাচালানের লাইন বন্ধ করলে আমিও আর এসব চোরাচালানের সাথে থাকবোনা বা আমার এলাকা দিয়ে আসবেনা। তিনি বলেন হাদারপার হয়ে থানার কাছ দিয়েই চোরাচালানের গাড়িগুলো আমার এলাকা দিয়ে আসে। কোনদিন ১০/১৫ টি গাড়ি আসে আবার কোন দিন একটি আসেনা। তারা সামান্য হাত খরছ দেয় আমাদের। এ বিষয়টি উপর মহলও জানেন। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক চোরাকারবারিরা জানিয়েছেন, প্রতিটি চোরাচালানের চিনি গাড়ি থেকে সালুটিকর ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দল্লাহ আল মামুনকে ৪ হাজার টাকা, কিটের গাড়িতে ১০ হাজার টাকা, ভারতীয় গরু মহিষ,মাদকসহ অন্যান্যপণ্যর জন্য আলাদা করে টাকার রেইট নির্ধারণ করা আছে। গাড়ি সালুটিকর আসার আগেই টাকা পরিশোধ করতে হয় ইনচার্জকে। তিনি নিজেই টাকা নিয়ে থাকেন। একটি সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে বসে ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন চোরাচালানের লাইন ক্লিয়ারের চুক্তি করেছেন। যেখানে নগদ টাকার লেনদেন হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে, তিনি তার এলাকায় চোরাচালানের বিষয়টি অপকটে স্বীকার করে বলেন, ভাই আমি সিলেটে আছি আর কয়েক দিন। আমার ফাঁড়ির সামনে দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গাড়ি আসে এটা সঠিক। কিন্তু হাদারপার দিয়ে যে মাল আসে সেটা থানার ওসির নলেজে দিয়েই আসে,পরে আমার এলাকা দিয়ে আসে। আমার কি করার আছে। আজকে বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ আমি সিলেট শহরে ডাক্তার দেখাতে আসছিলাম। পরে কয়েকজন পরিচিত লোকের অনুরোধে তাদের সাথে বসে নয়াসড়ক একটি রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি। ফাঁড়ির ইনচার্জের চোরাচালানের কথপকনের রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ও এসেছে এ প্রতিবেদকের কাছে।

এদিকে সালুটিকর এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, সালুটিকর এলাকার বহরগ্রামের মরহুম তেরা মিয়া উরফে বতন চেয়ারম্যানের ছেলে ২টি হত্যা মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী ( উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন) জামাল উদ্দিন ও তার ভাগ্না পাশ্ববর্তি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক  লীগের সভাপতি কামরান আহমদের সাথে চুক্তি করেই সালুটিকর রোড দিয়ে প্রতিদিন অবাধে চোরাচালানের গাড়ি সিলেট শহর হয়ে সারাদেশে ভারতীয় পন্য আসে। সালুটিকর এলাকার খলিলের বাড়িতেই রয়েছে ভারতীয় চোরাচালানের চিনির গুদাম। এ বাড়িতে ভারতীয় চিনির বস্তা বদল করা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন।

বহরগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালামের রয়েছে আরেকটি চোরাচালানের লাইন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ