সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান বনানী ডিপ্লোমেটিক জোনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্পা , বার বা লাউঞ্জ এর মত প্রতিষ্ঠান। গুটিকয়েক স্পা বা পার্লার সরকারের নিয়মনীতি মেনে চললেও তার উল্টো চিত্রই দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবতীদের এবং যুবতী দিয়ে যুবকদের স্পা করানো হয়। ওই সময়ের প্রায় উলঙ্গ ছবি বা ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা দিয়ে পরবর্তীতে ব্লাকমেইলিং করার ঘটনাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোন বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রুপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাণ্ড, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর।
ঢাকা মহানগরীতে প্রকাশ্যে ঠিক কতো সংখ্যক স্পা-পার্লার রয়েছে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা নেই কারোই! কেবল তাই নয়, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটে সীমিত আকারে স্পা-পার্লারের নামে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ‘ক্ষুদ্র ব্যবসার’ লাইসেন্স নিয়ে এসব অভিজাত এলাকায় কেবল দেহব্যবসা নয়, মাদকের রমরমা ব্যবসারও তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন থেকে শুধু রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স নিয়ে গুলশান বনানীতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সীসা লাউঞ্জ। রাত বাড়ার সাথে সাথেই সেখানে বিভিন্ন দামে ভাড়ায় পাওয়া যায় সুন্দরী রমণীদের । লাইসেন্স অনুযায়ী রেস্টুরেন্টের ব্যবসা পরিচালিত হলেও রাত বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে চলছে সিসা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও নারী । যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনৈতিক! গুলশান- বনানীর বৈধ বার গুলির ভিতরেও চলছে অবৈধ মদের বেচাকেনা সাথে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা! বার এবং লাউঞ্জ গুলির ভেতরেই ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরী রমণীদের,ভিতরেই চলছে রঙ্গলীলা । এরপর খদ্দেরদের সাথে করে নিয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন হোটেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানী তে বডি ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে অপরাধীরা মাদক ও সুন্দরি মেয়েদের দিয়ে দেহব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বডি ম্যাসাজ পার্লারে দাগী অপরাধী থেকে শুরু করে শিল্পপতিরাও আসা যাওয়া করে। পার্লারের মালিকরা সব সময় গেস্টদের আড়ালে থেকে এবং নিজেদের আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের আত্মীয় বা কাছের কেউ পরিচয় দিয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ ঢাকা।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্পা-পার্লার ব্যবসায়ী বলেন, হাতেগোনা কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের কারণে আমরা যারা বৈধভাবে ব্যবসা করছি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তেমনি যারা সেবা নিতে আসেন, তারাও আস্থার সংকটে ভুগছেন। বাংলাদেশে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের কোনও নীতিমালা না থাকার ফলে বৈধতার ব্যানারে অবৈধ ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্পা বা ম্যাসাজ একজন পেশাদারি থেরাপিস্টরা দিয়ে থাকেন। তিনি নারী বা পুরুষ যে কেউ হতে পারেন। বিদেশে গেলে দেখবেন বেশিরভাগ থেরাপিস্ট মেয়েরাই থাকে। তারা ছেলে মেয়ে সবাইকেই সার্ভিস দেয়। কিন্তু আমাদের মূল সমস্যা হলো আমাদের কোন নীতিমালা নেই যেখানে বলা থাকবে, কোন স্পা বা ম্যাসাজ পার্লার গড়ে তুলতে হলে কী ধরণের নিয়ম মানতে হবে।
অবাক করার মত বিষয় হলো, গুলশান বনানীর এই অন্ধকার জগত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী! ফ্যাসিবাদি সরকারের সময় ছাত্রলীগ পরিচয়ে আধিপত্য বজায় রাখলেও এখন ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছেন! করে যাচ্ছেন কোটি টাকার চাঁদা বাণিজ্য ! সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের মধ্যে এনায়েত এবং মোহন অন্যতম ! এদের সহযোগী ভুঁইফোড় সাংবাদিক বিজয় পাল, আলাউদ্দিন শাওন সহ অনেকে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই ক্যাডারদের সাথে আছে কিছু আন্ডারওয়ার্ল্ড যাদের শক্তিতেই এই এনায়েত মোহন গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো গুলশান বনানীর অন্ধকার জগত! খোঁজ নিয়ে জানা যায় গুলশান শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এনায়েতে গুলশান দুইয়ে একটি স্পার মালিক ! যা পরিচালনা করছেন একজন সুন্দরী রমণী ! মূল ধারার গণমাধ্যম কর্মী তথ্য সংগ্রহে গেলে অথবা প্রশাসনিক কোন ঝামেলা হলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান এই এনায়েত ! ইতিপূর্বে এনায়েতের নামে বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে কিন্তু থেমে নেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এনায়েতের দাম্ভিকতা এবং অন্ধকার জগতের আধিপত্য ও চাঁদা বাণিজ্য!
এনায়েত – মোহন – শাওন -বিজয় পাল – আলাউদ্দিন দের হাতে আছে বেশ কিছু ভুঁইফোর সাংবাদিক, আর আন্ডারওয়ার্ল্ডের বেশ কিছু মাফিয়া। মূল ধারার গণমাধ্যম কর্মী অথবা প্রশাসন যদি তাদের কথা মতো কাজ না করে তাহলে, প্রথম দিকে ভুইফোর সাংবাদিকদের দিয়ে নাম না জানা ফেসবুক পেজ অথবা নিজেদের বানানো ইউটিউব চ্যানেল বা নিজেদের তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলোতে মনগড়া নিউজের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মূল ধারার গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে তাদেরকে অপমান অপদস্থ করে ! যদি এতে কাজ না হয় তাহলে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ক্যাডারদের কে দিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেও পিছপা হন না নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এনায়েত- মোহন – শাওন গ্রুপ!
মাই টিভির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এনায়েত – মোহন-শাওন গ্রুপ ঢাকা শহরের ভিক্ষা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন! তাদের তত্ত্বাবধানে এক থেকে দেড়শ ফকির রেখেছেন যাদেরকে দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করানো হয়! দিনশেষে ভিক্ষুকদের ভিক্ষা করা অর্থ হাতিয়ে নেন এনায়েত – মোহন – শাওন – আলাউদ্দিন – বিজয় পাল গ্রুপ।
এই গ্রুপের প্রত্যেকটি সদস্য আলাদা আলাদা নামে প্রত্যেকটি স্পা, লাউন্স এবং বার থেকে মাসোয়ারা বা চাঁদা নিয়ে থাকেন! বিনিময়ে এই অন্ধকার জগত যেন নির্ভয়ে গুলশান বনানীতে দাপটের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে তার গ্যারান্টিও দিয়ে থাকেন! সাংবাদিক প্রশাসন তাদের কাছে কোন ব্য