শিরোনাম
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভা   দোয়ারাবাজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারাদন্ড ৪ জনকে  ছাতকে নোয়ারাই -জোড়াপানি-নরসিংপুর সড়কের  মৌলা ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভোগে হাজার-হাজার মানুষ  তেঁতুলিয়ায় অবৈধ ভাবে সার মজুদ,কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে গেলেন কৃষি অফিসের কর্তারা কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের ওপার ভারতের একটি গাছের ডালে ঝুলছে বাংলাদেশী যুবকের লাশ  বিএনপির অফিস ভাংচুরের ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে তালায় জাতীয় নাগরিক পার্টির মতবিনিময় সভা কানাইঘাটের আলোচিত জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব হত্যায় ৪ আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর প্রধান উপদেষ্টা ভিআইপি ফ্লাইটে বড় সিদ্ধান্ত নিল  শেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ৬টি পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাবনা
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: নওগাঁয় আব্দুস সালাম

স্টাফ রিপোর্টার / ২৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ: বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম বলেছেন, বিচারের নামে, সংস্কারের নামে বছরের পর বছর পার করে দেওয়া যাবে না। ওই যে হাসিনা মাঝেমধ্যে বলে টুপ করে আইসা পড়বে। সে নাকি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এই কারণেই বলি ড. ইউনুস আপনাকে এই ষড়যন্ত্রকে থামাতে হবে। নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নাই। সেই কারণেই আমরা নির্বাচন চাই।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের জেলা, মহানগর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

 

আব্দুস সালাম বলেন, দেশপ্রেম আনতে হবে, দেশপ্রেম ছাড়া রাজনীতি হয় না। ব্যক্তিপ্রেম দিয়ে হয় না। যে নেতা হবে সবাইকে ভালোবাসবে। নিজেকে ভালোবাসলে নেতা হওয়া যায় না। এটাই শিখতে হবে রাজনীতিতে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হয়ে থাকবেন বছরের পর বছর চলে যাবে, সংগঠনের কোনো লাভ হবে না। ওইটা কিন্তু এখন হবে না। হাসিনা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ছিলো বলেই স্বৈরাচার হয়েছে। এই সরকারও ওই দিকে দেশকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলো। আমরা বলেছি ওইসব অকাম কুকামের দিকে যাইয়েন না। আপনারা নির্বাচনটা করান, নির্বাচনটা করায়ে যান। আরেকটা হলো বিচার, বিচার তো সবচেয়ে বেশি আমরা চাই। আমাদের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি হত্যার স্বীকার হয়েছে, গুম হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। বছরের পর বছরের জেলে কাটিয়ে দিয়েছে। আমরাই তো বিচার চাই, আমরাই তো সংস্কার চাই, আমরাই তো নির্বাচন চাই। বলে ওদের ৩ দফা, আরে এই ৩ দফা তো আমাদেরই ৩ দফা।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। ওই তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাইতে হবে এই জন্য শুধু নির্বাচন চাই না। সেটা তো অবশ্যই চাই। দেশ চালাইতে হলে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের মতোই তো নেতা লাগবে। এটা তো পরিষ্কার বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই আধিপত্যবাদকে রুখতে পারবে। আজকে যে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেটিকে সংষ্কার করতে পারবে। এই জন্যই তো বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা দল করি, রাজনীতি করি, হ্যাঁ ক্ষমতায় তো যাবোই, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই তো করি। ক্ষমতায় না গেলে পরিবর্তন হবে কীভাবে। যদি ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব না নিতো তাহলে বাংলাদেশ ওই সময় ধ্বংস হয়ে যেতো। যদি বেগম খালেদা জিয়া ৯০ এর পরে ক্ষমতায় না আসতো তাহলে তো মহিলারা এতো সুযোগ সুবিধা ই পেতো না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বলি, অনেক কিছু বলি, আজকে যতকিছু করছে বেগম খালেদা জিয়া এসব তো কোনোকিছুই হতো না। সেই কারণে এই দেশটাকে, দেশের সার্বভৌমত্বটাকে যে বিক্রি করে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সেটা থেকে দেশকে বাঁচতে হলেও বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে। নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য নয়।

 

আব্দুস সালাম আরও বলেন, মানুষ মনে করে বিএনপি হলো সৎ। বিএনপি কখনো অন্যায় করবে না। বিএনপি সততার দিক দিয়ে এক নম্বর। কাজেই সেই সততা দিয়ে আমাদেরকে মানুষের মন জয় করতে হবে। এখন অন্যরা চুরি করতেছে। আমাদের দুই একটা ছিটেফোঁটা থাকতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি এখনো কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদেরকে বলবেন সাইডলাইনে চলে যাওয়ার জন্য। তারা যেনো লিডারশিপের ধারে কাছে না আসে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকেই জানেন তারেক রহমানের টেলিফোনে কিন্তু অনেকের কাছে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের টেলিফোন তারেক রহমান ধরেন না। কাদের ধরে না বুঝে নিয়েন। কাজেই বুঝতে হবে এটাই হলো তারেক রহমান যে আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্বে আসবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, শহীদ জিয়ার সন্তান হিসেবে, বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নয়নে আনতে এক বছরও উনার সময় লাগবে না।

 

সভায় রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতিস ফখরুল ইসলাম রবিন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ