সুনির্মল সেন:
লোকমান পুলিশের কাছে এক পরিচিত নাম। কিন্তু কি তার আসল পরিচয় তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন? কখনো সে পুলিশের এসআই, কখনো সে কনস্টবল আবার কখনো পুলিশ ও ডিবির সোর্স যার জন্য তাহার আসল পরিচয় পাওয়া খুবই কঠিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লোকমান একসময় বন্দর বাজার ফাঁড়িতে চা বানাতো, সেই সুবাধে পুলিশের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক। এরপর বন্দর বাজারের ফুটপাতের তরকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের নামে ২০ টাকা ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলতো। তখন থেকে সে পরিচয় দেয় পুলিশের সোর্স শুধু তাইনা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সোর্স গিরি করে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে, আবার অনেককে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে লোকমান চিনি চোরাচালানের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করছে বলে বিশ্বস্থ একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। লোকমান সে নিজেকে কখনো পুলিশের এসআই, কখনো কনস্টেবল, কখনো ডিবির সোর্স আবার কখনো আয়নার লোক বলে পরিচয় দেয়।
লোকমানের আন্ডারে এখন বিভিন্ন ধরনের বন্ধু রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে চোরা কারবারি,
মোবাইল চিন্তাইকারী, এছাড়াও তাহার বিশাল বড় তিনটি জোয়ার আস্তানা রয়েছে। সিলেটের উত্তর ও দক্ষিন সুরমায় আবাসিক হোটেল থেকে আগে পুলিশের নামে এখন ডিবির নামে বখরা আদায় করছে। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিন সুরমার সকল জোয়ার বোর্ড থেকে সে বখরা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ কাজে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইবাদুল্লাহর উপর। কালিঘাটে চোরাই চিনির নিয়ন্ত্রণ এখন লোকমানের হাতে তাই ওসি ও আইসি তাকে শেল্টার দিচ্ছেন।
লোকমান যে এলাকায় থাকে সেই এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একসময় সে খেতে পারতোনা বর্তমানে তাহার একটি নিজস্ব আলিশান বিল্ডিং রয়েছে। সেই বিল্ডিংয়ে সে বসবাস করছে। এছাড়াও সে অনেক নগদ টাকার মালিক। স্থানীয়দের প্রশ্ন লোকমান কিভাবে রাতারাতি এতো টাকার মালিক হলো সেই প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের দাবী আওয়ামীলীগের দোসর লোকমান অবৈধ পথে টাকা রোজগার করছে।
এ ব্যপারে লোকমানের সাথে কথা হলে সে এ প্রতিবেদককে জানায় নিউজ করার দরকার নাই। আমার সাথে হাত মেলান, আপনিও ভালো টাকা পাবেন। নিউজ করে কোন লাভ হবেনা, আমি প্রশাসন ম্যানেজ করেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের লাইনঘাট করে দিচ্ছি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ সুরমা ডিল করতেছে এই লোকমান। সে দুই তিনটা আবাসিক হোটেল থেকে ডিবির নামে টাকা তুলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে লোকমান তাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়। সে বলে আপনারা এগুলোতে নাক গলাবেন না, ডিবি প্রশাসন পুলিশ সব আমার হাতে। তোমাদের সপ্তাহে যা লাগে আমাকে বলিও আমি দিয়া দিব, তবুও ব্যবসায় ঝামেলা করবেন না।