শিরোনাম
গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্তে এস আই রাকিবের তত্বাবধানে বেপরোয়া চোরাচালান বানিজ্য একাধিক মামলার আসামি শুটার হান্নান কারাগারে সিলেটে পরিবেশগত কারণে কোয়ারির ইজারা স্থগিত দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার  সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরু আটক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত, আটক ১ সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীগুলো খননের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে কৃষকদের বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৭ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং চক্রের আস্তানায় অভিযান; অস্ত্র-মাদক উদ্ধার; ৯ জন আটক ছাতকের হাওরে-হাওরে বোরো ধান কাটা মাড়াই-ঝাড়াইয়ের উৎসবে এখন কৃষকরা  ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীগুলো খননের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে কৃষকদের বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৭ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার / ২৮ Time View
Update : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৭টি জেলার হাওরের উপর সর্বস্তরের জনসাধারনের জীবন জীবিকার উপর নির্ভরশীল বোরো ধান উৎপাদন ও রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জনউদ্যোগ সুনামগঞ্জের আয়োজন শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন,জনউদ্যোগ সুনামগঞ্জের সদস্য সচিব ও ডিবিসির জেলা প্রতিনিধি সাইদুর রহমান আসাদ। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠর্নে আহাবয়ক রমেন্দ্র কুমার দে,সুখেন্দু সেন,জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এড. খলিল রহমান,জাহাঙ্গীর আলম,হাওর বাচাঁও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক মিলন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন জাতীয় পরিষদের সদস্য শাহ কামাল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আমল থেকে এই হাওরের মানুষজন এই ৭টি জেলার অসংখ্য নদী ও হাওরগুলো খননের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু হাওরের মানুষ এই সব নদী ও হাওর খননের উদ্যোগ আজো দৃশ্যমান দেখতে পাননি। দেশ স্বাধীন হবার পর ঠিকাদারী প্রথায় ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। কিন্তু ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজের সময় ঠিকাদাররা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগ সাজঁসে সামান্য কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে নিতে দেখা যায়। হওরের লোকজন প্রকৃতির উপর দোষ চাপিয়ে দূর্ভোগে দিনযাপন করেন বছরের পর বছর। গত ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে হাওর বাচাঁও আন্দোলনের দাবির মুখে ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে পিআইসি প্রথা চালু হয়। কিন্তু পিআইসি পদ্ধতির নীতিমালা অনুযায়ী নিয়ম কানুন পালন না করায় প্রতিবছর বাধেঁর কাজে ব্যাপক অনিয়ম আর র্দূনীতির কারনে সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাঠ করা হয় এবং প্রায় সময়ই কৃষকদের কর্ষ্টার্জিত বোরো ফসল অকাল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।

যে সকল নদী ও হাওরে পলি জমে নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে সেগুলো দ্রæত খননের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরী। তাছাড়া হাওরের জীববৈচিত্র,পরিবেশ, গাছপালা,পশুপাখি ও পোণা মাছ নিধন বন্ধ করাসহ মৎস্য ভান্ডারকে রক্ষা করতে পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯সহ হাওরে যে সকল আইন প্রযোজ্য সকল আইন যথাযথ প্রয়োগ করার উপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। বক্তারা বাধঁ নির্মাণের প্রাক্কলন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা,গণশুনানীর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের অর্ন্তভূক্ত করে পিআইসি গঠন করা,গুরুত্বপূর্ণ ক্লোজারের কজওয়ে নির্মাণ করা সবগুলো সুইস গেইট সংস্কার করা,স্থানীয় কৃষক কর্তৃক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেয়া,বিগত মৌসুমে যে সকল পিআইসিতে পাফলতি ও অনিয়ম,দূর্নীতি হয়েছে তাদেরকে নতুন করে পিআইসিতে অর্ন্তভূক্ত না করা,পিআইসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,কর্মচারীসহ দূর্নীতির সাথে যুক্ত পিআইসি কর্মীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠনের কাজ করে ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজ শুরু করা এবং ২৮ ফ্রেব্রয়ারীর মধ্যে সকল বাধেঁর কাজ সম্পন্ন করতে এই ৭ দফা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ