সুনামগঞ্জের ৪২৪টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজার নবনীতে হাজাঁরো ভক্তবৃন্দের পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ,তিনস্তরের নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরী
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায় ৪২৪টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হলো মহা-নবনী উপলক্ষে হাজাঁরো ভক্তবৃন্দের দচারনা ও পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ করা হয়।
হিন্দু শাস্ত্রমতে মা দূর্গা কৈলাশ থেকে গজে চড়ে ধরাদামে(মানবকূলে) এসেছেন এবং দোলায় চড়ে তিনি আবারো কৈলাশে তার মায়ের গৃহে ফিরে যাবেন বলে মনে করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা বিশ্বাস করেন।
বুধবার((১লা অক্টোবর) সকাল ১১টায় মহা-নবনীর দিনে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরস্থ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও শ্রী শ্রী দূর্গাপূজাবাড়ি মন্দিরসহ সবকটি পূজামন্ডপে চলছে আবাল বৃদ্ধ বনিতা ভক্তবৃন্দা সারাদিন উপবাস থেকে মায়ের আর্শীবাদ ও নৈকুষ্ঠ লাভের আশায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে আরাধনা প্রার্থণা ও পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ । এই ৫দিনব্যাপী দূর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিটি মন্ডপে রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয়। যেকোন ধরনের অপ্রীতির ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছেন।
পূজামন্ডপে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) সমর কুমার পাল,রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,রামকৃষ্ণ আশ্রমের হৃদয়ানন্দ মহারাজ,সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায়,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,বলাই এষ,রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারন সম্পাদক চন্দন প্রসাদ রায়,বিপ্রেশ রায় বাপ্পী ও শ্রী শুী দূর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির পুরোহিত সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর(রোজ রবিবার) মহা-ষষ্টী পূজার মধ্যে দিয়ে পাচঁদিনব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে এবং আগামী ২রা অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার ৫দিনব্যাপী কার্যক্রম। চলতি বছর সুনামগঞ্জ জেলা সদরসহ ১২টি উপজেলায় মোট ৪২৪টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা শুরু হয়েছে। যা গতবছরের চেয়ে ২৪টি পূজামন্ডপে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ##