সেলিম মাহবুব:
জগন্নাথপুরের পল্লীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় মৎস্যজীবি সনজিৎ (৩০) ও সমির (৩৫) নামক দুই যুবক আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত সনজিৎ(৩০) আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্র ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী সচিন্দ্র দাস (৬৭) ও একই গ্রাম নিবাসী ফেমানন্দ দাস (৬০) এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধী আসছে।
৩রা সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সকাল প্রায় ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় সচিন্দ্র দাস ছেলে সনজিৎ দাস (৩০) ও সমির দাস (৩৫) স্থানীয় ফিসারী থেকে মাছ ক্রয় করে নিজ বাড়ী হইতে জগন্নাথপুর-পাগলা সড়কের যোগলনগর পয়েন্টের দক্ষিণ পার্শ্ব থেকে কলকলিয়া গ্রামের সড়ক দিয়ে বাজারে মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে যাওয়ার প্রাক্কালে জগন্নাথপুর-পাগলা সড়কের সন্নিকটে পৌছা মাত্রই আগে থেকে ওতপেতে থাকা ফেমাননন্দ দাস ও তার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র -শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সনজিৎ (৩০) ও সমির দাস (৩৫) এর গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে সনজিৎ দাস (৩০) প্রতিবাদ করলে ফেমানন্দ দাস (৬৭) ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে সনজিৎ দাস (৩০) ও সমির দাস (৩৫) কে এলোপাতাড়ি আঘাত ও মারপিটে করে রক্তাক্ত গুরুতর আহত করে। আহতদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।
তৎক্ষনাৎ স্থানীয়রা রক্তাক্ত আহত অবস্থায় সনজিৎ দাস (৩০) ও সমির দাস (৩৫) কে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত গুরুতর আহত সনজিৎ দাস (৩০) এর অবস্থার অবনতি হওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে এই দিন দিবাগত রাত প্রায় ১ঘটিকার সময় সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সনজিৎ দাস (৩০) সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে ঘটনার দিন রাতে সনজিৎ দাস’র পিতা সচিন্দ্র দাস বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন।
এবিষয়ে আহত সনজিৎ দাস এর পিতা সচিন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলেরা স্থানীয় ফিসারী থেকে মাছ ক্রয় করে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে বাজারে যাওয়ার পথে ফেমানন্দ দাস ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার ছেলে সনজিৎ দাস (৩০) ও সমির দাস (৩৫) কে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করেছে। সমির দাস(৩৫) এর হাতে-পায়ে ও শরীরে রক্তাক্ত জখম করেছে ও সনজিৎ দাস (৩০) কে রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত গুরুতর আহত করেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে না আসলে ওরা আমার ছেলেদেরকে মেরে ফেলতো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এই দুষ্কৃতকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। ওদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করছি।
এব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই দীপংকর মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।