শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জে ভারতীয় গরু নিলাম কার্যক্রম স্থগিত : জিম্মাদার নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে ফেসে যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার / ৪১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

এডিএম রেজাউল সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

আটক করার দীর্ঘ ৪ মাসের ব্যবধানে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগ্রহী প্রায় ৭০ জন দরদাতাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার গ্রহন করার পরও জব্দকৃত বিভিন্ন আকৃতি ও রঙ্গের ভারতীয় ৯০টি ডেকা ষাড় গরুর নিলাম সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে আদালত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের এজলাস কক্ষে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন,জনাকীর্ণ আদালতে নিলাম কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের দুইজন বিচারক একত্রে এজলাসে বসে ঘোষণা করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং ০২ (জিআর ১২৬/২০২৫) তাং ৪/৫/২০২৫ইং এর মাধ্যমে জিম্মাদারদের কাছে যে ৯০টি গরু জিম্মায় দেয়া হয়েছিল তারা আজকে আদালতে এতদিন গরুগুলোর ভরন পোষন বাবত ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে আদালতের কাছে দাবী করেছেন। অন্যদিকে আজকে আদালতের সামনে যে ৯০টি গরু উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি পূর্বের জব্দকৃত গরুগুলোর সাথে আকারে প্রকারে আজকের আনীত গরুগুলোর কোন মিল নেই। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে আদালতের নিলাম কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৯০টি গরু উপস্থাপন করতে গিয়ে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হয়েছে। এসব কারণে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমরা নিলাম কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করলাম।
জানা যায়,সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল বিজিবি সুরমা নদী দিয়ে পাচারকালে ইঞ্জিননৌকাসহ যে ৯০টি ভারতীয় গরু আটক করেছিল সেই গরুগুলো তৎকালীন চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৫জন চোরাকারবারীর কাছে জিম্মা দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আওতাভূক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঐ জিম্মাদানের ঘটনাটিকে জিম্মা নাটক বলে এই প্রক্রিয়াকে বেআইনী ঘোষণা করে সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে লিখিত বক্তব্য দিয়ে সম্পৃক্ত হন সুনামগঞ্জের সচেতন ৮/১০ জন সাংবাদিক। এদিকে ২৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়স্থিত নিলাম কমিটির আহবায়কের এজলাস কক্ষে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে ৯০টি গরু। আগ্রহী ক্রেতাগনকে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে ৯০টি ডেকা ষাড় গরু ক্রয়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট আদালতের নেজারত বিভাগের রুপালী ব্যাংক শাখার অনুকূলে ১৯৩৩০২৪০০০০২৩ নং হিসেবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে বলা হয়। গত ১০/০৮/২০২৫ইং তারিখে ৩৮২ নং স্মারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও সিজেএম কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক মুহাং হেলাল উদ্দিন উক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জারী করলে একাধিক আগ্রহীরা নিলামে অংশগ্রহন করেন। কিন্তু কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষের মতে এই নিলাম এখতিয়ার বহির্ভূত। কাস্টমসকে উপেক্ষা করে আদালত একতরফাভাবে নিলাম করতে পারেনা বলে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটিই বাস্তবায়িত হলো।
এর আগে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি হোসাইন মাহমুদ শাহীনসহ ৮জন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আহবায়ক কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার রেজভী আহাম্মেদ এবং একই বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজনের কাছে সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরু অদৃশ্য হওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে দায়ী করে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১২মে কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর ০৮.০১.৬০০০.০১৭.৩৪.০০৩.০৭ (অংশ-১)/২৪৬৮ নং স্মারকাদেশ মোতাবেক জনৈক আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
দায়েরকৃত অভিযোগে সাংবাদিকরা বলেন,গত ৩০ এপ্রিল আমরা সুনামগঞ্জ শহরে কর্মরত প্রায় ২০ জন সাংবাদিক ঘটনার সময় জেলার আব্দুজ জহুর সেতুতে অবস্থান করে,নদীপথে ৯০টি ভারতীয় চোরাই গরু পাচার করা হইতেছে দেখে স্বউদ্যোগী হয়ে বিজিবি সুনামগঞ্জকে একের পর এক মোবাইল কল করত: সংবাদ দেই। আমাদের মোবাইল ফোনের সংবাদে বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে নৌকাসহ ৯০টি গরু আটক করে ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টারে আটককৃত নৌকাসহ ৯০টি গরু নিয়ে যায়। আটককৃত গরুগুলোর ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত সাহা,এগুলো ভারতের মেঘালয় এলাকার গরু বলে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
এরপর আমরা সাংবাদিকরা সুনামগঞ্জ বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে সরজমিনে গিয়ে আটককৃত গরুগুলোর ভিডিও ধারন করি। এসময় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন ,স্টমস আইন ২০২৩ ও বিধি অনুযায়ী গরুগুলো নিলাম দেওয়ার জন্য বলার পরও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনামগঞ্জ (এডিএম) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দোহাই দিয়ে ৫ জন ব্যবসায়ী বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে অনধিকার প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি অনধিকার প্রবেশকারী ঐ ৫জন লোক ভারতীয় গরুর চোরাকারবারী। এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম,ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রচলিত কাস্টমস আইনকে উপেক্ষা করে ঐ ৫ জন লোকের কাছে একে অপরের যোগসাজশে তার পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে আটককৃত ভারতীয় গরুগুলো নির্বাহী ম্যাজিট্টেট মেহেদী হাসান হৃদয় কে প্রেরণ করে উপস্থিত সকল সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে গরুগুলো তাদের জিম্মায় দিতে বিজিবিকে বাধ্য


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ