শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

গোয়াইনঘাটে এসআই রাকিব ও এএসআই তানবীরেরর তত্বাবধানে বেপরোয়া চোরাচালান।

স্টাফ রিপোর্টার / ২৫১ Time View
Update : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিট অফিসার এস.আই রাকিব, ও সহকারী বিট অফিসার এ.এস. আই তানভীরের তত্বাবধানে চলছে বেপরোয়া চোরাচালান।

অনুসন্ধানে উঠে আসে বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় অবৈধ গরু, মহিষ ও চোরাচালানের মূল হোত এস আই রাকিব ও এএসআই তানভির। বঙ্গবীর পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ভারতীয় গরু, মহিষ বাহী ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলন করে থাকেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্য দিনে রাতে প্রকাশ্যে প্রবেশ করছে। আর রাত গভীর হলেই সিলেট শহর ও সিলেট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে কৌশল অবলম্বন করে কাভার্ড ভ্যান ভর্তি চোরাই পণ্য যাচ্ছে।

পুলিশের নামে গাড়ি প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের রুস্তমপুর বিছনাকান্দি বিটের বিট অফিসার এস.আই রাকিব ও এ.এস.আই তানভীর, শুধু গরু, মহিষ নয় অবৈধ ভারতীয় এমন কোন পণ্য নেই যা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছেন।

পরিচয় গোপন রেখে অনুসন্ধানী টিম জানতে পারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু প্রতি ২ হাজার ও মহিষ প্রতি ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে। তাছাড়া চিনি, কিট ও পাথর সবকিছুতেই তাদের চাঁদা দিয়ে অবৈধ কে বৈধ করে নিতে হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের সিন্ডিকেট এস.আই রাকিব কে দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশের দায়ে তা ধরিয়ে দেয়।

সীমান্ত এলাকার চোরাচারালান বন্ধ করতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, সিলেট এসএমপি কমিশনার, উপজেলা চোরাচালান বিরোধী ট্রাক্সফোর্স, চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির প্রতিমাসে সভা সেমিনার করলেও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ কর্মকান্ড।

সূত্র বলছে পদস্থ কর্মকর্তা চোরাচালান বন্ধে তৎপর হলেও অধিনস্থ এস.আইরা জড়িত চোরাকারবারিদের সাথে রয়েছে তাদের গভীর সখ্যতা। কাঁচা টাকার লোভে তারা একেক এলাকায় নিয়োগ দিচ্ছেন একেক লাইনম্যান, দরকষাকষির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা পাচ্ছেন লাইনম্যানের দায়িত্ব।

স্থানীয়রা বলছেন,গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্য দিনে রাতে প্রকাশ্যে প্রবেশ করছে। আর রাত গভীর হলেই সিলেট শহর ও সিলেট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সে সব পন্য আবার সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে কখনো কাভার্ড ভ্যান ও বালুর ট্রাকে করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই রাকিব তার সাথে দেখা করে সাংবাদিককে কথা বলতে বলেন, অন্যতায় তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমেদ এর ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ