সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার পাচঁকিত্তা গ্রামে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মৃত্যুদন্ডের দাবীতে সুনামগঞ্জে
সোমবার বিকেল ৫টায় আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণ অনুরাগী জাগ্রত যবসংঘের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার(ট্রাফিক) পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন।
আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণ অনুরাগী জাগ্রত যবসংঘের সভাপতি মহানামব্রত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ওসংগঠনেক প্রতিষ্ঠাতা হিমাদ্রি রায়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে এ সময় বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক, আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণ অনুরাগী জাগ্রত যুবসংঘের সাধারন সম্পাদক কিরণ রায়,কোষাধ্যক্ষ জয় বণিক,জেলা জন্মাষ্টমী পরিষদের সদস্য প্রসেজিৎ নন্দী,এ্যাডভোকেট নিত্য গোপাল গোস্বামী, মৌলভীবাজার জেলার বাসুঘোষ মন্দিরের অধ্যক্ষ পার্থ দাস সারথী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি কলি তালুকদার আরতি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,লক্ষণ বণিক,শুভ দাস,শংঙ্কু বণিক,সজীব রায়,শিল্পী বেগম,সীমা নাগ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন গত ২৬ জুন(রোজ বৃহস্পতিবার) রাতে ঐ নারী তার বাবার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর উপজেলার রামচন্দ্র ইউনিয়নের পাচঁকিত্তা গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন। ঐদিন রাতে নারীর পিতামাতা বাড়িতে না থাকার সুযোগে পাচঁকিত্তা গ্রমের লম্পট বখাটে ফজর আলী তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ঐ নারীর পিতার ঘরের দরজা ভেঙ্গে বসতঘরে প্রবেশ করে নারীকে বিবস্ত্র করে গণধর্ষন করে নারীর ভিডিও ভাইরাল করা হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে যখন তোলগাড় হয় তখন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ধর্ষনকারী ফজল আলীকে গত ২৮ জুন শনিবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ভিডিও ভাইরালকারী আরো ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এই গ্রেফতারের পরও কেউ সরকার কিংবা কোন রাজনৈতিক দল এই ধর্ষনকারীর দায় নিতে চান না বলে বক্তারা অভিযোগ করেন ধর্ষিতা মামলা দায়েরের পর তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে । অবিলম্বে ঐ সমস্ত ধর্ষনকারী ও ভিডিও ভাইরালকারীদের দ্রæত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। তারা আরো বলেন সংখ্যালঘুরা এই দেশে উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, সংখ্যালঘুরা ও এই দেশের নাগরিক। তাই ধর্ষণকারীর শাস্তি নিয়ে কোন নাটকীয়তা করা হলে আগামীতে সকল ধর্মবর্ণের মানুষদের সাথে নিয়ে রাজপথে আরো কঠোর কর্মসূচী প্রদানের ও হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।