সেলিম মাহবুব:
ছাতকের এক নারীর সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে তাদের ঔরসজাত এক সন্তান সহ স্ত্রীকে তাড়িয়ে দিয়েছে প্রতারক মোঃ আব্দুস সালাম। এ বিয়ের কাবিন নামায় ও দেখা গেছে বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি রয়েছে। মোঃ আব্দুস সালাম শান্তিগঞ্জ উপজেলার বেতকোনা গ্রামের হাজী আকবর আলীর পুত্র। নির্যাতনের শিকার মোছা: কলি বেগম ছাতক উপজেলার গোবিন্দ নগর গ্রামের আছকর আলীর কন্যা। স্ত্রী সন্তানকে অন্যত্র ফেলে দিয়ে মো. আব্দুস সালাম প্রবাসে চলে যান। তার স্ত্রী মোছা: কলি বেগম জানান এ বিয়ে ছিলো মোঃ আব্দুস সালামের দ্বিতীয় বিয়ে। অনেক নির্যাতন সহ্যকরে দীর্ঘদিন তিনি স্বামীর সংসার করেছেন। স্বামীর সংসারে থাকতে চান কিন্ত মোঃ আব্দুস সালামের অন্য স্ত্রী, ভাই সহ পরিবারের কু-পরামর্শে তাকে সন্তান সহ তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মোঃ আব্দুস সালামের সাথে প্রচলিত মোহাম্মদি শর্তে বিয়ে হয় মোছাঃ কলি বেগমের। কাবিন নামায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোহরানা লিখা থাকলে ও মুল কাবিন নামা পাওয়া যাচ্ছেনা। মোঃ আব্দুস সালামের দেয়া কাবিন নামার ফটো কপি নিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গেলে তারা বলেন এ নামের কোন কাবিন নামা তাদের অফিসে নেই। পুর্ব পাগলা ইউনিয়নের মোঃ আব্দুস সালামের পুত্র তাওহীদ আহমদের জন্ম সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৪.০৩.২০১৯ পিতার নাম মোঃ আব্দুস সালাম, মাতার নাম মোছাঃ কলি বেগম লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু মোঃ আব্দুস সালাম সে তার স্ত্রী-সন্তানকে বর্তমানে স্বীকার করছেনা। নানা ধরনের অপমান নির্যাতন করে স্ত্রী-সন্তানকে তাডিয়ে দিয়েছে। ৬ বছরের সন্তান নিয়ে মোছাঃ কলি বেগম নানা বাড়িতে মাতার আশ্রয়ে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মোছাঃ কলি বেগম আরো জানান, স্বামী প্রবাসে থাকা এবং স্বামীর প্ররোচনায় তার মা-ভাই সহ পরিবারের লোকজন তাকে সন্তান নিয়ে বাড়িতে যেতে দিচ্ছেন না। একসময় তাকে সন্তানের খুরাকি বাবত ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল এখন স্ত্রী ও ছেলের কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। সম্প্রতি মোঃ আব্দুস সালাম দেশে ফিরলেও স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ নেন নি তিনি। স্ত্রীর কাছ থেকে ধার নেয়া ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। বাকি টাকাগুলো ও ফেরত দিচ্ছেনা তার স্বামী। এক সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মোছা: কলি বেগম। তিনি এ ব্যাপারে আইনী প্রতিকার চান। সরকারি একটি দপ্তরে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিয়েছেন মোছাঃ কলি বেগম।