শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৫৩ বছরেও নির্মিত হয়নি একটি পাকা ব্রিজ! 

স্টাফ রিপোর্টার / ৫৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি:

গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও নির্মিত হয়নি একটি পাকা ব্রিজ!

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাগণ সুদীর্ঘকাল যাবত পাগলামুগ বাজার থেকে মাদ্রাসার পাশ দিয়ে প্রাবাহিত নদীর ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। কামারপাড়া রোডের মাঝলি নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় এইসব এলাকার কয়েক হাজার লোকের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

নদীর ওপর ফি-বছর এলাকাবাসি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হলেও কৃষি পণ্য ও গরু-ছাগল নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিরম্বনায়। এলাকাবাসী জানান, ২০০২ ইং সনে তৎকালীন ক্ষমতাসিন দলের বিএনপির সাবেক এমপি জনাব মাহমুদুল হক রুবেল সেখানে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু  ৫-৬ বছর যেতে না যেতেই ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাঠের ব্রিজটি পানির প্রবল তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আওয়ালীলীগ ১৫-১৬বছর ক্ষমতায় থাকলেও ওই নদীর ওপর আর কোন পাকা ব্রিজ নির্মাণ করেনি।

এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই এলাকার লোকজনের নিকট থেকে চাঁদা উঠিয়ে বেশ কয়েকবার বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও প্রতিবছরেই পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে যায়। নদীটির এপার-ওপারের গ্রামগুলোয় কয়েক হাজার লোক বসবাস করেন। ব্রিজ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বাঁশের নড়বড়ে সাঁকোতে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে। বর্ষাকালেতো ছাত্রছাত্রিরা বলতে গেলে স্কুলেই যেতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হল বাঁশের সাঁকো পার হয়ে হাফ কিলোমিটার দূরেই একটি প্রাইমারি স্কুল। কিন্তু ব্রিজ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। আর এবিষয়ে ৬ নং  হাতীবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট বহুবার ধর্না দিয়েও কোন ফলোদয় হয়নি। শুধু আশ্বাসই মেলেছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

এবারও প্রবল ঢল ও ভয়াবহ বন্যায় পানির তোড়ে নদীর সাঁকোটি ভেঙে ভেসে যায়। পরে গ্রামবাসি নিজেরা সবার নিকট চাঁদা উঠিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনরকমে যাতায়াত করছে। তবুও নড়বড়ে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। আসছে বর্ষায় বাঁশের সাঁকোও ভেঙে যাবে। তখন ছাত্রছাত্রি ও এলাকাবাসীকে চরম দুভোগ পোহাতে হবে।

অর্থৎ নদী সাতরে পারাপার হতে হবে। এখানে একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামের সাধারণ মানুষ হাট- বাজারে ও যেতে পারেন না। ছেলে মেয়েরা যেতে পারে না স্কুলে! এলাকাবসী আসন্ন বর্ষার পূর্বেই এই নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের  দৃষ্টি কমনা করেছেন।  হাতিবান্দা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম বলেন, প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি কাজ হয়ে যাবে।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ