শিরোনাম
ভালো কাজের’ লোভ দেখিয়ে মানুষ বিক্রি সিলেটের শাহনাজ ও মুরাদ কা রা গা রে সাবেক কাউন্সিলর মুহিবুর রহমান সাধুর স্মরণে বৌলা গ্রামবাসীর সভা সিসিকের অদৃশ্য প্রজেক্ট দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ সুনামগঞ্জে জাতীয় আইন সহায়তা দিবসে সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত  চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান জগন্নাথপুরে ২৫ পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন সিলেটে ভাই হয়ে বোনের কাছে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, শংকিত প্রবাসী পরিবার ! পীরগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের রাজস্বীক বিদায়
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

আ.লীগের সেই ক্ষমতাধর দারোগা উবাদুল্লাহ এখনো এসএমপিতে বহাল কি করে ?

স্টাফ রিপোর্টার / ৩৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট এসএমপির বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বির্র্তর্কীত কর্মকান্ড যেনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে দারোগার দমন-নিপীড়নে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি এখন সিলেট কোতয়ালী থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি। এসআই উবাদুল্লাহ সিলেট এসএমপিতে চাকরি করছেন প্রায় ১৪ বছর থেকে। নিজেকে আওয়ামী ঘরোনার লোক পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে এসএমপির প্রায় সব কয়টি থানায় তিনি চাকরি করেন। বিগত সরকারের শাসন আমলে তিনি থানার ওসির চেয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাতেন। যার প্রমান মিলে গত বছরের ১৭ জুলাই বুধবার কোটা সংষ্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজার নামাজের অনুষ্টানের সময়ে। সে সময় গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। বাদ যোহর বিকাল ৩টায় সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে গায়েবানা জানাজার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা হয়ে দাড়ায় পুলিশ। সে সময় মাঠে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক বাঁধা দেয়া পুলিশ। পরে রেজিস্ট্রারী মাঠ সংলগ্ন মসজিদ মাঠে গায়েবানা জানাজা আদায় করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে জেলা ও নগর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রেজিস্টারী মাঠে জড়ো হলে এ সময় পুলিশের একটি টিম নিয়ে তাদের রেজিষ্ট্রারী মাঠে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন এই এসআই উবাদুল্লাহ। সেই গায়েবানা জানাজার অনুষ্টানে বাধা দিতে রেজিস্ট্রারী মাঠের গেইট বন্ধ করে থালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। তৎকালীন সময় শাহপরাণ থানায় কর্মরত ছিলেন এই এসআই উবাদুল্লাহ। তিনি শাহপরাণ থানায় কর্মরত থাকলেও কোতয়ালীর বন্দরবাজার রেজিষ্ট্রারী মাঠে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে আসেন তিনি। যেহেতু তিনি সিলেট এসএমপিতে দীর্ঘ ১৪ বছর থেকে কর্মরত। তাই বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোই চিনতেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে হুমকি ও বাধা দিতে দেখা যায় উবাদুল্লাকে। অথচ তিনি তখন কর্মরত ছিলেন এসএমপির শাহপরাণ থানায়। এসময় নাকি তার উপর দায়িত্ব ছিলো বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেফতার করা। গত বছরের ৫ই আগষ্টের পর সরকার বদল হলে এসএমপি সকল পুলিশ রদবদল হলেও এসআই উবাদুল্লাহকে পোষ্টিং করা হয় কোতয়ালী থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। তিনি এখনো বন্দবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি।

এদিকে বিগত কয়েক মাস থেকে বন্দরবাজার এলাকায় প্রতিদিনই ঘটতে থাকে নানা রকম অপরাধমূলক ঘটনা। বিশেষ করে প্রতিদিন ও রাতে অন্তত ১০/১২টি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ নির্বিকার। থানার টহল পুলিশ আর ডিবির সাদাপোষাক ধারীদের হাতে একাধিক ছিনতাইকারী আটক হলে ফাঁড়ির আইসি উবাদুল্লাহ নিজেই ঘুরেন ছিনতাইকারীদের সাথে নিয়ে। বন্দরবাজার এলাকায় যখন পথচারিরা ছিনতাইকারীদের ধরে উত্তম-অধম দেয় তখন যখন বাংলা ছবির স্টাইলে হাজির হয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। উত্তেজিত লোকজনের হাত থেকে বাঁচাতে এসব ছিনতাইকারী আটক করে থানায় নিয়ে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের ৫ই আগষ্টের পর সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকা ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ ঘাটি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। তারমধ্যে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকটি এলাকাগুলো উল্লেখ যোগ্য। বিশেষ করে দিনের বেলা মহাজনপট্টি কিংবা কাষ্টঘরের রাস্তা ও বন্দরবাজার হয়ে পুরাতন জেল কোয়ার্টারের সামনের রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করতেও এখনো ভয় পায়। কারণ গাড়িতে বসে পুলিশ থাকে নিরব দর্শকের মতো থাকিয়ে। তাদের সাথেই তাকে আরেক দল ছিনতাইকারী উঠাবসা করেন। এদের কথা মতোই কাজ করে টহল পুলিশ দল। রাত হলেই বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উবায়দুল্লাহ ও এএসআই ইলিয়াস পৃথক টিম নিয়ে মহাজনপট্টি ও কাষ্টঘর রাস্তার সামনে সাদাপোষাকে দাড়িয়ে থাকেন। ভারত থেকে আসা অবৈধ চিনি গাড়ির টাকা উত্তোলন করতে। পাশাপাশি পথচারিদের মাদক দিয়ে ফাঁসানোর মতো একটি চুর পুলিশ খেলা চলে। ঐ এলাকার প্রতিটি মার্কেটের সিসি ক্যামেরা চেক করলে এসব ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে।

বিগত সরকারের আমলে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরের নির্মম নির্যাতনে রায়হান আহমদ নামে এক যুবক মারা গেলে ব্যাপক রদবদল হয়। সে সময় ফাঁড়িতে আসেন এএসআই ইলিয়াস হোসেন। ফাঁড়িতে এসে নিজেই গড়ে তুলেন নিজস্ব একটি বিশেষ বাহিনী। একাধিক বির্তকৃত কর্মকান্ডের জন্য থাকে ফাঁড়ি থেকে অন্যত্র বদলী করা হলেও তিনিও এখনো বহাল আছেন।

এসএমপির সব চেয়ে পুরাতন এসআই উবাদুল্লাহ। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও তার গ্যানম্যানের কথায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বাণিজ্য ছিলেন বেশ আলোচিত। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এসএমপি এক পুলিশ সদস্য বলেন। তাকে এসএমপি থেকে বিগত আ.লীগের আমলেও কেউ বদলী করতে পারেনি, এখনো পারবে বলে মনে হয়না। কম করে হলেও উবাদুল্লাহ সিলেট এসএমপিতে আছেন ১৩/১৪ বছর হবে। তিনি যে সব সোর্স নিয়ে ঘুরে বেড়ান তার বেশীর ভাগই আ.লীগের চেলাচামুন্ডা।

পুলিশ ফাঁড়ি নেই আছে পুলিশী বাণিজ্য: গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দিলে এখন থানায় বসেই চলছে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। এখন ফাঁড়িতে থাকা আইসি সহ এএসআই ইলিয়াসের টার্গেটই হচ্ছেন ভোরে বাস বা ট্রেনের যাত্রী, সিলেটে আসা পর্যটক, মাজারে আসা দম্পতি, সাধারন ব্যবসায়ীরা। ফাঁড়িতে না নিয়ে নিরীহ পথচারীদের আটকিয়ে পিটিয়ে বা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় আর হয়রানী নিত্যদিনের ঘটনা।

বিষয়টি আপোষ রফার জন্য নিজেরাই সাথে রাখেন সোর্স পরিচয়ধারী কয়েকজনকে এমন বক্তব্য প্রত্যক্ষদর্শীদের।

মাদক উদ্ধার নাটক : অভিযোগ আছে, মাদকদ্রব্য উদ্ধারের নামে রাতে নিজেদের সোর্সসহ এএসআই ইলিয়াস ও আইসি উবাদুল্লাহ দাড়িয়ে থাকেন কাষ্টঘর কিংবা বন্দরবাজারের কোন অন্ধকার গলিতে, সেখানে পথচারি যাওয়া মাত্রই নিজেদের কাছে থাকা মাদক দিয়ে নিরিহ পথচারিকে ফাঁসিয়ে টাকার বিনিময়ে বাণিজ্য

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ