তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
তাহিরপুর যাদুকাটা নদীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর পাড় কাটা নিষেধ থাকলেও থেমে থাকেনি চাঁদাবাজি মামলার আসামী শ্রমিকলীগ সহ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনীর পাড় কাটার দৌড়াত্ব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হলেও বালি খেকো বোরহান উদ্দিন সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সীমান্ত নদী যাদুকাটায় দু’কিলোমিটার এলাকায় রাতের আঁধারে চালায় বালি লুটের মহোৎসব। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন করে প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকার বালি বিক্রি করছে বোরহান ও তার শক্তিশালী সিন্ডিকেট বাহিনী।
উল্লেখ্য কিছুদিন পূর্বে বাদাঘাট কলেজ ছাত্রদল সদস্য সচিব রুবেল আহমেদ কে প্রাননাশের হুমকি ও চাঁদা দাবি করায় আওয়ামী দোসর শ্রমিক লীগ সহ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে তাহিরপুর থানায়।
বাদাঘাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব
রুবেল আহমেদ বলেন,আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর যার অত্যাচারে বি এনপি জামায়াতের কোন মানুষ রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। শত শত নেতা কর্মী কে নির্মম নির্যাতন করেছে শ্রমিক লীগ সহ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনী। বোরহান ও তার বাহিনী উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামাইল্লার চর, গাগটিয়া জালরটেক, হতে অদৈত মহাপ্রভুর বাড়ির পশ্চিমপাড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিদিন দিনে রাতে অবৈধ ভাবে বালি উত্তলন ও বিক্রির মহাউৎসব চালায়।কিছুদিন পূর্বে এই সন্ত্রাসী আমার নিকট চাঁদা দাবি করলে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। আমি বোরহান উদ্দিন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তুু এই সন্ত্রাসী মামলা থাকার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় এবং নদীর পাড় কাটা সহ সকল অবৈধ কাজ পরিচালনা করে আসছে আমি মাননীয় পুলিশ সুপার সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শ্রমিক লীগ সহ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।আমার বিরূদ্ধে মামলা থাকার কারনে আমি এলাকার বাহিরে অবস্থান করছি। নদীর পাড় কাটব কিভাবে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত চলছে, আমরা আসামিদের ধরতে চেষ্টা করছি।