শিরোনাম
ভালো কাজের’ লোভ দেখিয়ে মানুষ বিক্রি সিলেটের শাহনাজ ও মুরাদ কা রা গা রে সাবেক কাউন্সিলর মুহিবুর রহমান সাধুর স্মরণে বৌলা গ্রামবাসীর সভা সিসিকের অদৃশ্য প্রজেক্ট দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ সুনামগঞ্জে জাতীয় আইন সহায়তা দিবসে সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত  চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান জগন্নাথপুরে ২৫ পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন সিলেটে ভাই হয়ে বোনের কাছে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, শংকিত প্রবাসী পরিবার ! পীরগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের রাজস্বীক বিদায়
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

ভবন ঘেরাও করে রাতভর অভিযান, সবার চোখে ধুলো দিলেন আ. লীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার / ৫৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:

ভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীর কাছে থাকা খাতায় ভেতরে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম লিখে রাখা হয়। সেখানে মোস্তাক আহমেদ বাবুর নাম লেখা আছে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজেও তাকে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টার অভিযানেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।ভবনে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ছাত্র-জনতার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি।

জানা যায়, মোস্তাক আহমেদ বাবু ওরফে ব্যাটারি বাবু রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন ব্যাটারি বাবু।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ছাত্র-জনতা খবর পায়, নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকার একটি বহুতল ভবনের নিজের ফ্ল্যাটে উঠেছেন বাবু। তারপর ঘেরাও করা হয় ভবনটি। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে আসে থানা-পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সিআরটি, সেনাবাহিনী এবং র‌্যাব। পুলিশ সদস্যরা ভেতরে গিয়ে তল্লাশি করলেও তার খোঁজ মেলেনি।

তার পরও ভোররাত পর্যন্ত ভবনটি ঘিরে রেখেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সূত্র জানায়, রাজশাহীর স্টেডিয়াম মার্কেটে মোস্তাক আহমেদ বাবুর ‘সাব্বির আয়রন স্টোর’ নামের একটি ব্যাটারির দোকান আছে। এ জন্যই তার ডাকনাম হয়ে গেছে ব্যাটারি বাবু। সামান্য ব্যাটারির দোকান থাকলেও তিনি অত্যন্ত বিলাসী জীবনযাপন করেন। অভিযোগ আছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক কারবারি মোহাম্মদের সঙ্গে হেরোইনের কারবার ছিল বাবুর। এ ছাড়া সারা দেশে নারী সাপ্লাই সিন্ডিকেটেও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৩ সালে ক্রিকেটার জিকো হত্যার আলোচিত মামলার আসামি ছিলেন বাবু। ওই মামলা হওয়ার পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালের দিকে তিনি দেশে ফেরেন। তখন তিনি মহানগর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটুর ছত্রছায়ায় রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। এখনও তিনি এই পদেই আছেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর তার নামে মামলা হয়েছে।

এদিকে ভবন ঘিরে রেখেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ছাত্র-জনতা। এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাকে ঢুকতে দেখেছি। পেছনে পেছনে এখানে আসি। তারপরও তাকে পাওয়া গেল না। সে কি দরবেশ, যে ভবনে ঢুকেই হাওয়া হয়ে গেল? এটা কীভাবে সম্ভব!’ এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, তারা ফ্ল্যাটের সামনে গেলে পরিবারের সদস্যরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন বাবুকে গ্রেপ্তার না করানোর জন্য। কিন্তু তারা পুলিশকে খবর দেন। পরবর্তীতে কী হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চলেছে। কিন্তু আসামিকে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ