শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

২ কোটি টাকা নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ: চাকুরি হারালেন হরিজন সম্প্রদায়ের ৪০ জন  

স্টাফ রিপোর্টার / ১৩৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

সুনির্মল সেন, প্রধান সম্পাদক:

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনবল নিয়োগে প্রায় দুই কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ‘সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৬মাসের জন্য জনবল নিয়োগের দায়িত্ব পায় ওই প্রতিষ্ঠানটি। দায়িত্ব নিয়েই হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে এই লেনদেন করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি পদের জন্য তাদের গুনতে হচ্ছে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১০টি পদে ২৬২ জন লোক নিয়োগ করা হবে। জনবল নিয়োগের টেন্ডারটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার বাগিয়ে নিয়েছে সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিস। এই কোম্পানীর নেপথ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকজন। যারা অতীতেও হাসপাতালে রাজত্ব করেছিলো। টেন্ডার নিয়েই শুরু হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য। আর এই বাণিজ্যের মূলহোতা হলেন হাসপাতালের সাবেক কোম্পানীর স্টাফ রুবেল ও তার সহযোগী সামছু। তারা দুজন মিলে শহরতলীর তেমুখী এলাকায় একটি অফিস করেন। সেখানে বসেই এই নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়েছেন। আর এসবের নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।

যদিও টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে তৎকালীন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া উল্লেখ করেছিলেন হাসপাতালের পুরাতন স্টাফদের দিয়েই কাজ পরিলনা করা হবে। এরা সবাই পরিক্ষিত ও দক্ষ স্টাফ। তাছাড়া ১শ জনের মধ্যে ৯০ জন হরিজন সম্প্রদায়ের লোক রাখতে হবে। কিন্তু সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিসের দায়িত্বরতরা পরিচালকের সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন।

হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের জনপ্রতি ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন রুবেল। তারা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে তাদেরকে আর পূণরায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ হরিজন সম্প্রদায়ের ৪০ জন লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত তাদের মেয়াদ রয়েছে। মেয়াদ থাকা সত্বেও টাকা না দেওয়ায় তাদেরকে চাকুরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালায় রয়েছে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। কিন্ত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্ষেত্রে তা সম্পর্ণ ভিন্ন।

সিলেট জেলা হরিজন সম্প্রদায়ের সহ—সভাপতি পান্নু লাল জানান, গালফ ও আল আরাফাহ সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে তৎকালীন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আমাদের সম্প্রদায়ের ৪০ জন লোককে হাসপাতালে নিয়োগ প্রদান করেন। তখন তারা সবাই সিলেট সিটি কর্পোরেশনে চাকুরিতে ছিলো। কিন্তু মেডিকেলের পরিচন্নতার স্বার্থে পরিচালক আমাকে বলেন। পরে আমি এই ৪০জন লোককে সিটি থেকে চাকুরি বাদ দিয়ে হাসপাতালে নিয়োগ করি। তাদের নিয়োগের মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিসের রুবেল ও সামছু আমাদের লোকদের চাকুরি থেকে বাতিল করে দিয়েছে। পরে আমি রুবেল ও সামছুর সাথে যোগাযোগ করি তারা আমাকে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর আমি ওসমানী মেডিকেলের উপ—পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তীর সাথে যোগযোগ করি। তিনি আমাকে কোন আশ^াস না দিয়ে বলেন আমার মেডিকেলের স্টাফদের সুযোগ দিতে পারছি না আর আপনার লোকদের কি ভাবে দিবো?

পান্নু লাল আরও বলেন, আমার এই ৪০ জন লোক চাকুরি হারিয়ে মানবেতর জীবন—যাপন করছে। তারা সিটি কর্পোরেশনে চাকুরি করে তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্তু ওসমানীতে গিয়ে সিটির চাকুরিও গেছে। এখন এরা অপরাধের সাথে যুক্ত হবে। এদের নিয়ে আমি আমার সম্প্রদায়ের লোকজন চিন্তিত। আমরা শিঘ্রই চাকুরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসমানী মেডিকেলের উপ—পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তীর সাথে যোগযোগ করলে তার মেঠোফোনে বার বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ