মোহাম্মদ আলী,স্টাফ রির্পোর্টার:
ঘিওরে পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর বালু মহাল ইজারা বন্ধ ও শ্রীধরনগর গ্রাম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কবরস্থান ও মাদ্রাসা রক্ষায় জেলা প্রশাসক ড.মানোয়ার হোসেন মোল্লার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন- পয়লা ইউনিয়নবাসী।
গত বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট ) জেলার ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শ্রীধর নগর এলাকার পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পয়লা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা, পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর মৌজায় বালুমহাল ইজারা বন্ধের দাবি জানান।
অবৈধ বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন হলে, আশে-পাশের ফসলি জমি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
উপস্থিত বক্তারা মানবন্ধনে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করলে তাদের বাপ দাদার কৃষি জমি ভেঙে যাবে।
জেলা প্রশাসক ও ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বালু মহাল বন্ধের জোরদার দাবি জানান।
নতুন করে যেন আর বালু মহাল ইজারা না দেওয়া হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আকুল আবেদন করেন মানববন্ধনকারীরা ।
এসময় উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন কৃষি প্রধান এ দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে পয়লা ইউনিয়নবাসী বলেন, সরকারি আইন লংঘন করে শ্রীধর নগর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিলে, পয়লা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব মানিকগঞ্জের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আবুল হোসেন ইজারা না দেওয়ার দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয় সহ মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা অভিযোগের কর্ণপাত না করে বালু মহল ইজারা দিয়ে পয়লা ইউনিয়নের ৮ থেকে দশটি গ্রাম নদী গর্ভের ঝুঁকিতে ফেলে দেন।
উল্লখ্য,মানববন্ধন শেষে বাল্কহেড নদীতে ভাসিয়ে দেয় মানববন্ধনকারীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘিওর থানা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এবিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসা নাতিশা তুল ইসলামকে মুঠোফোনে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সরকারি ভাবে শ্রীধর নগর বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারার বাহিরে মাটি কাটার কোনো ধরনের সুযোগ নেই।