শিরোনাম
সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিলেন কাজী আখতার উল আলম সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত।  সুনামগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে” জেলার চোরাকারবারি, মাদকসহ সবধরনের অপরাধ দমন করার আশ্বাস প্রদান করেন—নবাগত পুলিশ সুপার   বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে দিরাই বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা সভা সুনামগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল ও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন সুনামগঞ্জে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এড.নুরুল ইসলাম নুরুল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মানিকগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মল্লিকপুর বগি লাইনচ্যুত: তেলবাহী ওয়াগন ছিলো খালি তাই হয়নি ক্ষয়ক্ষতি  বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে তালহা রেস্ট হাউজে ডিবির অ ভি যা ন ৫ জন গ্রে ফ তা র
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

হরিরামপুরে বিএনপির রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে-আবুসাদাত

স্টাফ রিপোর্টার / ১৩৬ Time View
Update : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

মোঃ শাহিন(মোল্লা শাহিন:

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বিএনপির রাজনীতিতে ধারাবাহিক জনপ্রিয়তায় আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার শীর্ষে অবস্থান করছেন আবু সা’দাত মোঃ শাহিন ওরফে মোল্লা শাহিন। আবু সা’দাত মোঃ শাহিন (মোল্লা শাহিন) শুধু একটি নাম নয়, তিনি হরিরামপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আশা ভরসার প্রতীক।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অন্যতম ঘাটি হিসেবে বিবেচিত মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা।
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বে এবং বিএনপির রাজনীতিতে সুপরিচিত, পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী হিসেবে বিবেচিত হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু সা’দাত মোঃ শাহিন (মোল্লা শাহিন)। তিনি জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব এবং জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে জেলার সর্বস্তরে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। রাজনীতি তার পেশা নয়, নেশা এমন মন্তব্য দলীয় নেতাকর্মীদের। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে, সামাজিক ভালো কাজে ও দুর্দিনে তাকে সর্বদা পাশে দেখা গেছে। রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ব্যবসার পাশাপাশি সাধারন জনতাকে বুকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছেন। এলাকার সর্বসাধারণ,সুধীজন ভালোবেসে ও তার কর্মকান্ডে খুশী হয়ে হরিরামপুর উপজেলাস্থ স্বনামধন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব প্রদান করে। বিগত বিএনপির সরকারের আমলে ২০০৩ সালে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে তিনি অপরাজনীতির শিকার হলেও থেমে থাকেননি। মাঠ পর্যায়ে নিরলস ভাবে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বিএনপির জোট সরকার থাকাকালীন সময়ে যারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সরকার পতনের পর রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন অথবা আওয়ামীদের সাথে আঁতাত করেছে কিন্তু সে সময় তিনি মাঠপর্যায়ে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করে নেতা-কর্মীর সর্বোচ্চ খোঁজখবর নিয়েছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এছাড়াও তিনি তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের উদীয়মান ত্যাগী ছাত্র নেতা ছিলেন।
২০১৩-২০১৪ সালে (মাসুদ পারভেজ-মোস্তাফিজুর রহমান প্রিন্স) কমিটির সময় আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তবুও তিনি এক মুহূর্তের জন্যও মাঠ ছাড়েননি। তাই বর্তমানে উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বলে সর্বসাধারণ মনে করেন।

একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানান- তৎকালীন দুর্দিনে যখন কোনো নেতা-কর্মী আন্দোলনে অংশ নিতে কিংবা মিটিং-মিছিল করতে সাহস পাননি, তখন আমি সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জননেতা ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান (শান্ত) দাদার দিকনির্দেশনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা শহরে সর্বপ্রথম দলীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে মিছিল করি।

এই কারণে আমার পরিবারের ওপর পুলিশ প্রশাসন দ্বারা অবর্ণনীয় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব হওয়ার পরে কেন্দ্র ঘোষিত সকল দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। মানিকগঞ্জ জেলার যুবদলের নয়টি ইউনিট এর মধ্যে আমরাই প্রথম হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের অধীনস্থ ইউনিয়ন গুলোতে আহবায়ক কমিটি ও পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সফলতার সহিত প্রদান করি এবং আমাদের নির্দেশনায় প্রতিটা ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে।

২৪এর জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের সময় নিজের জীবনের পরোয়া না করে ঢাকায় পুলিশের বুলেট উপেক্ষা করে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান (শান্ত) দাদার সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, দলীয় পরিচয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি, মাদক, ইভটিজিং বা সমাজ বিরোধী অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয় কিংবা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করার অপচেষ্টা করে, তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ও জনগণকে সাথে নিয়ে শক্তভাবে প্রতিহত করবেন।

ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করে ধানের শীষ প্রতীকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষে তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন এবং বলেন-
“হরিরামপুরবাসীর দুর্দিনে পাশে ছিলাম, আছি এবং মা-মাটি রক্ষার্থে ভবিষ্যতেও থাকব, ইনশাআল্লাহ।”


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ