শিরোনাম
পুলিশি চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধের দাবিতে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক অবরোধ গোয়াইনঘাট সীমান্তে স্থানীয় প্রশাসনের নামে শীর্ষ চোরাকারবারী সাদ্দাম নাঈম সিন্ডিকেটের চাদাবাজি ! সিলেটে নতুন জেলা প্রশাসক মোঃ সারোয়ার আলম ছাতকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য র্যালি জামালগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে র‍্যালি ও আলোচনা সভা শান্তিগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন তাহিরপুরে প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনার দাদন ব্যবসা ও মামলা হামলার হুমকিতে দিশেহারা সাংবাদিক ও তার ছোটভাই বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হরিরামপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০২৫ উদযাপিত। সিলেটে দুই দলের ৩৫ নেতা পাথর লুটপাটে জড়িত সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় রনি হত্যায় পুলিশ আসামী রাজুকে গ্রেফতার করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে:
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন

তাহিরপুরে প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনার দাদন ব্যবসা ও মামলা হামলার হুমকিতে দিশেহারা সাংবাদিক ও তার ছোটভাই

স্টাফ রিপোর্টার / ৭ Time View
Update : সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের দাদন ব্যবসার ভেড়াজালে পড়ে এবং মিথ্যা মামলা হামলার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাহেব আলীর ছেলে সংবাদকর্মী শফিউল আলম ও তার আপন সহোদর হাবিজুল আলম।

এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় জানাযায় হাবিজুলের আপন বড়ভাই স্থানীয় সংবাদকর্মী শফিউল আলমের শ্বশুর জামালগঞ্জ উপজেলার তেলিয়া লামাপড়া গ্রামের বাসিন্দা আলিম উদ্দিনের একটি পাওয়ার টিলার জমি আবাদের জন্য পাঠনো হয় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামে। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জানতে পারেন দেনাদার হাবিজুল আলমের বড়ভাই সাংবাদিক শফিউল আলমের শ্বশুরের পাওয়ার টিলার রাজাই গ্রামে নেওয়া হয়েছে জমি চাষাবাদের জন্য। এই সুযোগে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম দলবল নিয়ে গত ২০২৩ সালের ৭ই আগষ্ট রাজাই গ্রামে গিয়ে এই পাওয়ার টিলারটি জোরপূর্বক নিয়ে আসার চেষ্টাকালে সাংবাদিক শফিউল আলম ৯৯৯ এই নম্বরে কল করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাওয়ার টিলারটি আর নিতে দেয়া হয়নি।

এই শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং তিনি আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রেহেনা বেগম ভূক্তভোগী চড়াসুদের দেনাদার হাবিজুল ও শামছুল আলম এবং শফিউল আলমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দামকী দিয়ে আসছিলেন। দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা মোছাঃ রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমের আপন ছোটভাই হাবিজুলকে দেড়লাখ টাকা চড়াসুদে দেওয়ার পর থেকে সুদে আসলে টাকা পরিশোধ করতে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতির কারণে সাংবাদিক শফিউল আলম ২০২৩ সালের ৯ই আগষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,২০২৩ ইং সালের ৬ মার্চ মাসে বিপদে পড়ে হাবিজুল আলম ঐ শিক্ষিকা দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের দারস্থ হন এবং চড়াসুদে দেড়লাখ টাকায় আরো ত্রিশহাজার টাকা মুনাফা দেয়ার অঙ্গীকার করে সুদে টাকা গ্রহন করেন। সময়মতো সুদ ৩০ হাজার টাকা প্ররিশোধ করলে ও আসলের একলাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কৃষক হাবিজুল আলমকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় সুদখোর রেহেনা। পরবর্তীতে দেনাদার হাবিজুল আলম ২০২৩ সালের ৯ আগষ্ট মোট টাকার মধ্যে চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের বাড়িতে গেলে রেহেনা বেগম চল্লিশ হাজার টাকা রেখে ষ্ট্যাম্পে আর ৬০ টাকা বর্ধিত করে মোট দুইলাখ চল্লিশ হাজার টাকা দুয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।এঘটনায় হাবিজুল আলম মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিক শফিউল আলম জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ বরাবর সুদখোর রেহেনার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফ থেকে তদন্ত করা হলে ও কোনধরনের সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগম রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও বড় ভাই শামছুল আলম এবং তার ছোট ভাই তফছিরুল আলম হাবিজুল আলমের বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে সুদের টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগে ও দায়ের কৃত মামলার লিখিত ভাষ্য ভিন্ন ভিন্ন দেখা যায়।

পরবর্তীতে তৎকালীন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সাংবাদিক শফিউল আলম ও হাবিজুল আলমকে ২০২৪ ইং সালের ১৫ মে পরিষদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন উভয়পক্ষই যথাসময়ে পরিষদে হাজির হন। সাংবাদিক শফিউল আলম উপস্থিত হয়ে এই টাকার সাথে তার ও তার আরও দুই ভাই শামছুল আলম ও তফছিরুল আলমের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে রেহেনার দায়ের করা অভিযোগ খারিজ হয় কিন্তু কোনরকম সুরাহা হয়নি। এদিকে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সাংবাদিক শফিউল আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের জরুরী কাজে বাদাঘট বাজারে গেলে দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ সে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করে দুই লাখ টাকা দাবি করে।তাদের সৃজনকৃত একটি লিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে নগদ ত্রিশহাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং সাংবাদিকের সোনালী ব্যাংক শাখার একটি চেক এ একলাখ ৭০ হাজার টাকা লিখে চেক রেখে তাকে ছেড়ে দেয়। এই চেক রাখার পর সাংবাদিককে শাসিয়ে দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী বলে দেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি দিয়ে দেন। এদিকে আহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিশ্বম্ভরপুর এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় সুদখোক শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ১৮দিন পরে সুদখোর মহাজন রেহেনা বেগম ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বাদি হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও তার ছোটভাই হাবিজুল আলমের নিকট দুইলাখ টাকা পাবে এমন অভিযোগ এনে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭০/২০২৪ইং তারিখ। এই মামলা থেকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাংবাদিক শফিউল আলমকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলাটি বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে এই মামলার পর সাংবাদিক শফিউল আলম সুদখোর মহাজন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে মামলা নং ১১৭/২৪ একটি মামলা দায়ের করেন।মাননীয় আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে।এ মামলার তদন্তে রেহেনার দাদন ব্যবসার বিষয় টি উঠে আসে।সি আর ১১৭/২৪
এই মামলার পরপরই রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সাংবাদিক শফিউল আলম বৃহস্পতিবার(১৪ই আগষ্ট ২০২৫) ইং তারিখে সুদখোর রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আরো পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চড়াসুদে দাদন ব্যবসা করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা আর তার চড়াসুদের ব্যবসায় ইতিমধ্যে অনেকগুলো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই এমন অভিযোগের কথা সাংবাদিকদের জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুদের ব্যবসার কথা অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ