সিলেট বুলেটিন ডেস্ক
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পর্যটনে ইকো ট্যুরিজমকে বাস্তবায়ন করতে টানা চার বছর ধরে প্রান্তিক নারীদের হাত দিয়ে ভিনদেশি উচ্চমূল্যের ফুল চাষ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও)। টিউলিপ ঘিরে পর্যটনে নতুনমাত্রা যোগ করেছে উত্তরের পর্যটনের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া।
এ বছরও টিউলিপের বাহারি প্রজাতির ৯ জাতের ফুল আবাদ করা হচ্ছে। টিউলিপ দেখতে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের কথা চিন্তা করে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে টিউলিপ উদ্যান।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি লাইনে সবুজ পাতার মাঝে মাঝে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি প্রজাতির টিউলিপ। গতবারের চেয়ে আরও নতুন করে ৯ প্রজাতির টিউলিপ আবাদ করা হয়েছে। এবারের জাতগুলো হচ্ছে সানি রাজকুমার, পিঙ্ক আর্ডোর, প্যারেড, অক্সফোর্ড, কমলা ভ্যাব বরলশ, ফেরডেক্স, অ্যাপেলডুম, বøাশিং এলিট ও মেস্টিক ভ্যান ইউজক। গতবারের জাতগুলো ছিল অ্যান্টার্কটিকা (সাদা), ডেনমার্ক (কমলা ছায়া), লালিবেলা (লাল), ডাচ সূর্যোদয় (হলুদ), স্ট্রং গোল্ড (হলুদ), জান্টুপিঙ্ক (গোলাপি), হোয়াইট মার্ভেল (সাদা), মিস্টিক ভ্যান ইজক (গোলাপি), হ্যাপি জেনারেশন (সাদা লাল শেড) ও গোল্ডেন টিকিট (হলুদ)। এসব টিউলিপের সৌন্দর্যে তেঁতুলিয়া হয়ে উঠবে একখন্ড নেদারল্যান্ড। পর্যটনে ইকো ট্যুরিজম যুক্ত হওয়ায় নতুনমাত্রা তৈরি হয়েছে।
ইএসডিও’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে চতুর্থবারের মতো তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়ায় টিউলিপ চাষ শুরু করতে পেরেছি। আমরা টিউলিপের ব্লাব (বীজ) বপনের উদ্বোধন করেছি। আমরা নারী ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে এ অঞ্চলের প্রান্তিক নারীদের সহযোগিতায় এ বছরও টিউলিপ আবাদ করেছি। আসলে এ ফুল ফোটার পিছনে এখানকার প্রান্তিক নারীরা এ ফুল ফুটিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের হাতে ফোটা টিউলিপের নজরকাড়া সৌন্দর্যে পর্যটকদের মোহিত করছে, আকৃষ্ট করছে। সবাই টিউলিপ দেখে মুগ্ধ হোক। ভ্রমণে হোক, বনভোজনে হোক সবাই যাতে এ ফুল দেখতে পারে তাহলে আমাদের উদ্যোগ সার্থক হবে।
ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান জানান, বাংলাদেশের খামার পর্যায়ে টিউলিপ চাষে চতুর্থবারের মতো আমরা উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামে টিউলিপ চাষ করা হচ্ছে। তবে এবার একটু দেরি হয়ে গেছে। কারণ নেদারল্যান্ড থেকে ব্লাব (বীজ) এলসি করে অনেকটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে ফুলগুলো অনেক দিন থাকবে। আশা করছি আগামী দুই মাস এ টিউলিপের রাজসিক সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াবে সারাদেশে। এ. টিউলিপ ঘিরে আমরা সারাবছরই ইকো ট্যুরিজমের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের ফুল, ফল চাষ করবো। ইতিমধ্যে আমরা চাষিদের উচ্চ মূল্যের ফলের চারা দিয়েছি।
এদিকে টিউলিপ ফুল দেখতে চাই বিউটিশিয়ান আইভি খান জানান আমি বাগান থেকে অনেক মুগ্ধ হয়েছি সত্যি তেতুলিয়াবাসী হিসেবে অনেক গর্ববোধ করি প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মানুষ এসে ভিড় জমায়।