গাজা উপত্যকা দখল করে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা সামনে এগিয়ে নেওয়ার বেশিরভাগ অংশই করে ফেলেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের।
এটা স্পষ্ট যে, ট্রাম্পের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে একজন কমপক্ষে এক বছর ধরে একই রকম কিছু নিয়ে আলোচনা করছেন এবং এটি বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তার কাছে তহবিল এবং রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে।
ট্রাম্পের জামাতা এবং সাবেক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ‘গাজার সাগরপাড়ের সম্পত্তি খুবই মূল্যবান হতে পারে, যদি মানুষ সেখানে উপার্জনের দিকে মনোযোগ দেয়।’
কুশনার বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে ইসরাইলের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করি, সেখানের জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার পর এটি পরিষ্কার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
কুশনার যখন এসব কথা বলেন তখন ইসরাইল গাজার দক্ষিণ সীমান্ত শহর রাফাহতে অভিযানের কথা ভাবছিল। সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ইসরাইল বা মিশরের নেগেভ মরুভূমিতে বাস্তুচ্যুত করা যেতে পারে। চাপ দেওয়া হলে তাদের গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।’
তবে, আন্তর্জাতিক আইন বলে গাজার জলসীমা বা এর সামুদ্রিক সীমানার সম্পত্তির অধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়।
ট্রাম্প প্রথমে বলেছিলেন যে মার্কিন-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা ‘বিশ্বের মানুষ’- এর জন্য উন্মুক্ত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার কোনও কারণ থাকবে না। তবে, তার উপদেষ্টারা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।