শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

ঝিনাইগাতীতে একযোগেও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত 

স্টাফ রিপোর্টার / ৭২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি:

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে গত একযুগেও ঝিনাইগাতী উপজেলার গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত। এগুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। জানা গেছে, গোমড়া গ্রামের অপর নাম ভুমিহীন পাড়া। পুরো গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। প্রায় সবাই ভুমিহীন। সিংহভাগ মানুষ সরকারি খাজ জমিতে বসবাসের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ও শ্রমবিক্রি করে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা । এ পুরো গ্রামে তেমন কোনো কোরবানি হয় না বললেই চলে। এ গ্রমের ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বৈদেশিক সাহায্যে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। জানা গেছে, এগুচ্ছ গ্রামে ৩০ টি গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। গুচ্ছ গ্রামের নারী পুরুষ সবাই দিনমজুর। দিনমজুরি করে চলে তাদের জীবন জীবিকা। ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হলেও জীবিকা নির্বাহের জন্য সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্তা। বর্তমানে এ গুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। একদিন কাজে না গেলে সেদিন এ গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হয় তাদের। গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা আঙ্গুরি বেগম (৭০) দিনমজুরি করে চলে তার সংসার। ২ ছেলে ৪ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। আঙ্গুরি বেগম বয়সেরভারে ন্যুইয়ে পরেছে। তবুও তাকে জীবিকার তাগিদে মজুরি করতে যেতে হয়। গুচ্ছ গ্রামে মাথাগোজার ঠাই হলেও সরকারিভাবে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড কিংবা ভাগ্যে জুটেনি অন্য কোন সাহায্য সহযোগিতা। পুরো গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় একই অবস্থা। গুচ্ছ গ্রামের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলীসহ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ গুচ্ছ গ্রামে অবস্থানের পর থেকে দীর্ঘ একযোগেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত। গ্রামবাসীরা জানান, গতবছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুচ্ছ গ্রামবাসীদের কোরবানির গোস্ত দেয়ার নাম করে পরিচয় পত্রের ফোটা কপিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও গুচ্ছগ্রামবাসীদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্তো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ