নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমারে ফ্যাসিষ্ট সরকারের হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রিপেইড মিটার স্থাপন ও বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকগন।
বৃহস্পতিবার ১৫ই মে দুপুর ১১টায় ডোমার বাজারস্ত রেলঘুন্টির মোড়ে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
ডোমার ও ডিমলা উপজেলা বাসীগনের আয়োজনে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহবায়ক নুরুজ্জামান বাবলা, ডোমার প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি মাহির মোহাম্মদ মিলন, অর্নব আহমেদ আলিফ প্রমুখ।
বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব বলেন, বিইআরসি (বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা) ডিমান্ড চার্জ সার্ভিস চার্জ সহ যত চার্জ আছে ইনক্লুডিং মিলে ইউনিটের মুল্য নিধারন করে। ওই চার্জ গুলো আগেই কেটে নেয়। অথচ ১ ফেজ প্রতি মিটারে ২শত টাকা, ৩ ফেজ মিটারে ১ হাজার টাকা কেটে নিবে। এর কোন ভিত্তি নাই।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন আন্তর্জাতিক বাজারে ১ফেজ একটা মিটারের মুল্য ২ হাজার ৩শত ৮০টাকা। এখানে নেওয়া হচ্ছে ৬ হাজার ৫শত টাকা। মিটার লাগানো খরচ সহ ৭ হাজার ২শত ২৫ টাকা। মিটার ভাড়া প্রতি মাসে কাটা হবে ৪০ টাকা এবং অনন্তকাল পর্যন্ত এই টাকা কাটতেই থাকবে। ৩ ফেজ মিটারে ৬ হাজার ১শত ৯০ টাকা লাগানোর খরচ সহ ১৮ হাজার ৭শত ৮৭টাকা। যা আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা। ডোমারে প্রায় ৩০ হাজার মিটার স্থাপন করা হবে। এখন ৩০ হাজার মিটারে যদি মিটার প্রতি ১ হাজার টাকা কমিশন পায়, তাহলে ৩ কোটি টাকা হয়, এই টাকাটা লুটপাটের পায়তারা চালাচ্ছে। আপনি বাড়ি পাবেন, গাড়ি পাবেন, আর ডোমারের মানুষকে বাঁশ দেবেন এটা হতে পারে না।
এবিষয়ে ডোমার নেসকো পিএলসি অফিস সুত্রে জানা যায়,অত্র কার্যালয়ের অধীনে ৩৩ হাজার ৬৭৩ জন গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে আবাসিক গ্রাহক ২৬ হাজার ৪শত ৩১জন এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক ৩ হাজার ৯ শত ২৮ জন।
প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার এসেছে এবং সম্পুর্ন বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া ২০২৪ইং সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ শতটি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডোমার নেসকো পিএলসি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলম জানান, প্রথমেই ইরিগেশনে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এখন আবাসিক গ্রাহকের বাসায় স্থাপন করা হচ্ছে। সকল সরকারি ভবন, আবাসিক ভবন এবং অফিসে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে বলছে। আমি উনাদের নির্দেশ পালন করছি।