ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাসনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষনা দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন তলা ভবন দখল নিয়ে নিজেদের সাইন বোড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল করে এনসিপির কার্যালয় করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
শনিবার (১০ মে ২০২৫) দুপু অদৃশ্য শক্তির বলয়ে থেকে চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়।
জানাযায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতননের পর জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের তোপে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এবং লুটে নেয়া হয় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। এর পর থেকে পরিত্যক্ত অবস্হায় ছিলো আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি। পরে সরকার পতনের ৯ মাস পর গতকাল শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিনিধি দাবী করে অহিদ ফয়সাল নামের এক নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি জবর দখল করে নিজেদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সাটিয়ে কার্যক্রম শুরু করলে গোটা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন অনেকই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির দৃষ্টিনন্দন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে আওয়ামী লীগের তিন তলা ভবন দখল নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবীর কর্মসুচির প্রস্তুতি মূলক সভা করেছেন এনসিপির নেতারা। ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে চালানো হচ্ছে এনসিপির প্রচার প্রচারনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনের ৫৪ বছরে এই প্রথম কোন দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিস দখল করে নিজের দলীয় কার্যক্রম করছেন। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে নাজির বিহীন ও নেক্কারজনক ঘটনা।
এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিনিধি দাবীদার অহিদ ফয়সাল জানান, এনসিপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চরফ্যাসন উপজেলার এনসিপির নেতা আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরীফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল নিয়েছেন। এখন থেকে চরফ্যাসনে এনসিপির দলীয় সকল কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হবে।