শিরোনাম
চুনারুঘাটে অপহরণ নাটকের রহস্য ফাঁস: পুলিশ তদন্তে চমকপ্রদ তথ্য উদঘাটন কানাইঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক ওয়ারেন্টভূক্ত ০৪ জন ও নিয়মিত মামলায় ০৩ জন সহ মোট ০৭  গ্রেফতার  দিরাইয়ে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহনে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন   ঝিনাইগাতী আশ্রয়প্রকল্পের বাসিন্দাদের নিয়ে গ্লোবাল টেলিভিশনের ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন সুনামগঞ্জে ঝাঁক ঝমকপূর্ণভাবে গ্লোবাল টেলিভিশনের ৩য় বর্ষপূতি উদযাপন জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌর শাখার পুজা উদযাপনের কমিটি অনুমোদন প্রদান সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মোটর চালক দল সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বাগানবাড়ি এলাকায় বিজিবি”র অভিযানে ২ মানব পাচারকারীসহ ৬ জন আটক কাশিমপুরে পারিবারিক কবরস্থান দখলে মানববন্ধন ভুক্তভোগী পরিবারের। 
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন

জৈন্তাপুর কৃষি মেলায় চকলেট রঙের ‘অগ্নিশর কলা’: ব্যতিক্রমী কলা চাষে আলোচনায় কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর

স্টাফ রিপোর্টার / ৫৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর এবার তাক লাগিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী কলা চাষ করে। গাঢ় চকলেট রঙের এই বিশেষ কলার নাম তিনি দিয়েছেন ‘অগ্নিশর কলা’। কলাটি শুধু দেখতে নয়, খেতেও এতটাই সুস্বাদু যে এটি এখন স্থানীয় কৃষক ও দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।

মো: আব্দুশ শুকুর জানান, কিছুদিন আগে তিনি বেড়াতে যান চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এলাকায়। সেখানকার এক দোকানে কলা কিনতে গিয়ে চোখে পড়ে একটি অদ্ভুত রঙের কলা, যার দাম ছিল ২০ টাকা মাত্র একটি। বিপরীতে দেশি কলা বিক্রি হচ্ছিল ৪টি ১০ টাকায়। কৌতূহল নিয়ে তিনি সেই কলাটি কিনে খান এবং এর স্বাদে এতটাই মুগ্ধ হন যে দোকানিকে অনুরোধ করেন একটি চারা দেওয়ার জন্য।

চোখে চোখে আগলে রাখা সেই চারা তিনি ৩০০ টাকা দিয়ে কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে জৈন্তাপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসাইন এর পরামর্শে সেটি নিজ জমিতে রোপণ করেন। প্রায় ছয় থেকে সাত মাসের মাথায় গাছে ফল আসে, এবং সেই ফল খেয়ে তিনি যেমন খুশি, তেমনি এলাকাবাসীও অবাক।

কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর বলেন,“এই কলার স্বাদ সত্যিই আলাদা। এখন আমি নিজের খাওয়ার পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করছি। অনেকেই আমার বাড়িতে এসে চারা নিতে চাইছেন।”

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “অগ্নিশর কলা আমাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনা। এটি শুধু ব্যতিক্রমী রঙ ও স্বাদের জন্যই নয়, স্থানীয় জলবায়ুতেও এটি সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষক শুকুর সাহস করে চারা এনে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেছেন এবং আমরা তাকে সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছি। যদি এটি বাণিজ্যিকভাবে বিস্তার লাভ করে, তাহলে এটি কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি ফসল হয়ে উঠতে পারে।”

বর্তমানে এই কলা ও এর চারা নিয়ে স্থানীয়দের আগ্রহ তুঙ্গে। জৈন্তাপুর কৃষি প্রযুক্তি মেলায় তার স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। চারা সংগ্রহের জন্য অনেকে যোগাযোগ করছেন সরাসরি তার বাড়িতেও।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ