ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। সেনা বাহিনী ও পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলামসহ চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের মারুফ মোল্যা, মফিজুর মোল্যা ও একই গ্রামের মো. ঠান্ডু মোল্যার গ্রুপের মধ্যে বুধবার সকালে এক দফা সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে বিকেলে পুনরায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাঠের মধ্যে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী ক্যাম্পের সেনা বাহিনী, থানা ও ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। সংঘর্ষের সময় ধারাল অস্ত্রের কোপে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪জনকে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মোড়া গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন, মারুফ মোল্যার ও মফিজুর মোল্লার সাথে ছাত্রদল নেতা রফিকুলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর আগেও মারামারি হয়েছে। তার সূত্রধরে বুধবারের সংঘর্ষ। রফিকুলকে মেরে ফেলার টার্গেট করেই তারা সংঘর্ষ শুরু করে। রফিকুলের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। রফিকুলের মা সালমা বেগম বাদি হয়ে এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মারুফ মোল্লারা পলাতক থাকায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার এবং পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মারুফ গ্রুপ আর ঠান্ডু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি। রাত অবধি ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরিস্থিতি শান্ত করি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।