শিরোনাম
সুনামগঞ্জ এর ছাতকে শালি ধর্ষণের শিকার  তারেক রহমান যুব পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সংবর্ধনা।  শেরপুর পুলিশ লাইন্সে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কানাইঘাটে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষার্থীর! ফেনীতে দাবিকৃত ঘুষ না পেয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতি সিলেটের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, নৈরাজ্য প্রমাণ করে দেশ চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার: সিপিবি ঢাবি’র প্রাক্তন ভিসি আরেফিন সিদ্দিক মা-বাবার পাশেই শায়িত হলেন  উখিয়ায় রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব হবিগঞ্জে আছিয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত 
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

কালের সাক্ষী রক্ষিত বাড়ির ২৮৯ তম দোল উৎসব 

স্টাফ রিপোর্টার / ১১ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:

বিশ্বশান্তি কামনায় রঘুনাথপুর রক্ষিত বাড়ি ২৮৮ তম দোল উৎসব পালন করা হয়েছে।

রক্ষিত বাড়ির বংশধরেরা পূর্ব পুরুষের পালন করা দোল উৎসব এখনো পালন করে আসছেন। দোল উৎসব এলাকার হিন্দু মুসলিমের সম্প্রীতির এক মিলন বন্ধন। রক্ষিত বাড়ির পূর্বপুরুষের তৈরি করা পিতলের তৈরি রাধা গোবিন্দের মূর্তি দিয়ে রক্ষিত বাড়ির বংশধরেরা দোল উৎসব পালন করছেন। রক্ষিত বাড়ির বর্তমান বংশধর যারা দোলের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে তারা হলেন প্রবীর কুমার রক্ষিত, আনন্দ মোহন রক্ষিত, উৎপল কুমার রক্ষিত, বিপুল কুমার রক্ষিত, মন্তোষ কুমার রক্ষিত।

 

ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ণিমা তিথি বৃহস্পতিবার ১০ টা ৫২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড পর্যন্ত পূর্নিমা শুক্রবার ১২টা ৪ মিনিট ১১ সেকেন্ড পর্যন্ত পরে প্রতিপদ, দোল পূর্নিমার উপবাস।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার প্রিয় গোপী, রাধার প্রেমের চিরন্তন বন্ধন কে ধরে রাখার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই দোল উৎসব পালন করে আসছেন। দোল পূর্নিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও গোপিদের সাথে নিয়ে রঙ খেলে ছিলেন। মহা প্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্ম হয়েছিল এই পূর্নিমা তিথিতে।

ফাল্গুনী পূর্ণিমার আগের দিন শুক্লা চর্তুদশী

তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম মিলে দুই দৈত্য কে হত্যা করে। এর পর শুকনো কাঠ, খড়কুটো দিয়ে তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সেই থেকে দোল পূর্নিমার আডগের দিন ন্যাড়া পোড়া প্রচলন হয়।

হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, বৃন্দাবনে রাধা ও কৃষ্ণের দ্বারা হোলি খেলার উৎসব পালিত হয়েছিল। হোলি খেলার মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় নির্দেশ করে।

দোলযাএা,দোল উৎসব,কিংবা হোলি খেলা নামেও পরিচিত।

রক্ষিত বাড়ির পুরোহিত দীনেশ চক্রবর্ত্তী জানান, বৃহস্পতিবার ন্যাড়া পোড়া, শুক্রবার দেবদোল ও পূর্নিমার উপবাস, শনিবার পূজা যজ্ঞ, ভোগরাগ, বিকেলে গোবিন্দ নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাওয়া ও রাতে প্রস্হ বন্ধন। দোলের পরদিন হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রক্ষিত বাড়ির বংশধর সাংবাদিক উৎপল রক্ষিত জানান, সকল মানুষের শান্তি কামনায় ও অন্যায়ের পতন, ন্যায়ের জয়ের জন্য রক্ষিত পরিবার প্রতি বছর দোল উৎসব পালন করে থাকে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দোল উৎসব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দোল উৎসব পাল করে থাকে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ