নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, পেয়েছি একটি লাল সবুজ পতাকা।
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
আমি শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের মৃত ও জীবিত মহান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে।
কিছু কিছু ষড়যন্ত্রকারী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধকে
ভুলে যেতে চায় বা আড়াল করে দিতে চায় !!
২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট
ছাত্র জনাতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায়। হাসিনা বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিম আক্রাম সহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
লক্ষ করা যায় যে, বর্তমান সময়ে কেউ কেউ বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা আমি মনে করি এই শব্দ গুলো ভুল।। কেন না !!
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার এরশাদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল এবং পদত্যাগ করেছিল তখন কিন্তু কেউ এই ভুল শব্দ গুলো উচ্চারণ করেননি যে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা । সেই সময়ে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, শহীদ নূর হোসেন এবং ডাঃ মিলন সহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর বাংলাদেশে কেউ এই ভুল শব্দ গুলো উচ্চারণ করেননি যে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা ।
প্রকৃত অর্থে যারা বাংলাদেশী যাদের রয়েছে অগাধ দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি মমত্ববোধ তারা কখনও বলতে পারেন না যে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে কেন না, আমাদের বাংলাদেশ অন্য কোন রাষ্ট্র দখল করে নেয় নাই বা নিতে পারে নাই বা কোন দিন পারবেও না ইনশাআল্লাহ।
স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশে
স্বৈরাচারী শাসককে বিতারিত করার পর বলা যায় না দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এই কথা গুলো যারা বলেন বা লেখেন তাদের ভেবে দেখা দরকার কেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলেন? মনে করি এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে ।