মানিকগঞ্জে জাতীয় শ্রমিক শক্তির যুগ্ন সদস্য সচিব-মোঃ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
মোহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সদস্য সচিব (অর্থ) মোঃ কামরুজ্জামানের এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নাম ভাঙ্গিয়ে সাংগঠনিক নিয়মনীতি না মেনেই জালিয়াতির মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে এনসিপিতে জায়গা করে দেওয়ার পায়তারা করছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীদের মন্তব্য।সূত্রে জানা যায়, তিনি জেলার দৌলতপুর উপজেলার জিয়ানপুর ইউনিয়নের চৌড়িডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফ্ফুর মাস্টারের পুত্র।
ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকার জেলার সাভার উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদের (আওয়ামী পন্থী) চেয়ারম্যান মন্জুরুল আলম রাজীব ও তার ভাই সমরের ছত্রছায়ায় বিগত আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি,, ভূমিদখল ও হয়রানি করার কারণে সে তেতুলঝোড়া এলাকায় জণজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়াও আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীকে ঐ ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে ও পরে ডিভোর্স নিতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে দোসাইদ এলাকাও ছাড়তে বাধ্য হয়। উল্লেখ,বর্তমানে সে এনসিপি এর শ্রমিক উইং এ কমিটিতে এসে তার পূর্বের দোসর ও আওয়ামী লীগের নেতা দোসাইদ এলাকার ২৪ এর আন্দোলন এর হত্যা মামলার আসামী এবং সবেক মেম্বার খালেক ও তাজু কে ৪০ লক্ষ্য টাকা ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার ও এনসিপির দলীয় পদ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও সে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে হরিরামপুর এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মূলহোতা সোহেল রানা সোহাইলকে মানিকগঞ্জ জেলার শ্রমিক উইং এর পদ নিয়ে দেন এবং তাকে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ও প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপি এর মূল দলের সকল নেতাকর্মী তাকে সোহেলের বিষয়ে কমিটিতে না নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মোঃ কামরুজ্জামান সে শুধুমাত্র আর্থিক লাভে ও চাঁদাবাজির কারণে তিনি সোহেলকে লালন পালন করে যাচ্ছেন।এছাড়াও সে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির এক অংশের নেতাকে জেলার আহবায়ক কমিটিতে বড়ো পদ দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ্য টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।
সে এবং সোহেল রানা সুহাইল মিলে মানিকগঞ্জ এনসিপি এর একাংশের এক নেতাকে বলেন ” কেন্দ্রীয় শ্রমিক শক্তির শীর্ষ ২ জন নেতাকে ৩ লক্ষ্য টাকা দিলে ” তারা সকলে মিলে এন সি পির নেতাদের বুঝিয়ে ঐ নেতাকে কমিটি এনে দিতে পরবে। এটা স্পষ্ট ঘুষ ও চাঁদাবাজির নমুনা। আর সে সোহেলের নিকট চাঁদাবাজির মোটা অংকের ভাগ ও মাসোহারা নিয়ে তাকে সকল অপকর্মের প্রশ্রয় ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদাবাজ সোহেলের বিষয়ে জানতে চাইলে সে কোনো সদুত্তর না দিয়ে চাঁদাবাজ সোহেল রানা সুহাইল পক্ষ নেয় এবং মানিকগঞ্জ জেলার এনসিপি এর মুলদলের একাধিক নেতার সাথে বাগবিতন্ডায় জড়ায়। স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে ও খারাপ আচরণ ও হুমকি দেয় সোহেলের পক্ষ হয়ে।
হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপি এর নেতাদের নিকট তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কেউ এদের দ্বায়দ্বায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন এবং তাদেরকে জেলায় অবাঞ্চিত ও হুলিয়া জাড়ি করার কথা জানান।
সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শ্রমিক শক্তির নেতা মোঃ কামরুজ্জামানের আপন বড়ো বোনজামাই ২৪ এর হথ্যামামলার আসামী এবং দৌলতপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক। সে গ্রেফতার হয়েছিলো,, এখনো মামলা চলমান এবং জামিনে আছে।
মূলত জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় নেতার মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বেই শান্ত হরিরামপুরকে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে সোহেল রানা সুহাইল। তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ সাধারন জনগন।
উল্লেখ্য,সোহেল রানা সুহাইল উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের হাকিম উদ্দীন (মাস্টার) এর পুত্র। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া সহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দুই নেতা মিলে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা তেরি করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে মিথ্যা হয়রানি মামলা দায়ের করেন মন্তব্য হরিরামপুরবাসীর।
হরিরামপুর সরকারি কয়েকটি দপ্তরে চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ ও রয়েছে শ্রমিক ইউং এর সমন্বয়ক সোহেল রানা সুহাইলের বিরুদ্ধে। মোঃ কামরুজ্জামানকেও মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমার নামে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক এ্যাড.জাহিদ তালুকদারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। আমি কেন্দ্রীয় ইতিমধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি জানার জন্য জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ঋআজ মোর্শেদকে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করার সম্ভব হয়নি।
এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটি কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড.আব্দুল্লাহ আল আমিন, মাজহারুল ইসলাম ফকির , ঋআজ মোর্শেদ এবং জেলা প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি ভুক্তভোগীদের।