ঝিকরগাছা হাসপাতালে ২নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও রোগীর স্বজনের সাথে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি।। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত দুইজন নার্স এর বিরুদ্ধে রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব অবহেলা ও স্বজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই নার্স হলেন জাহানারা খাতুন অপরজন নাজনীন আক্তার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোমিন এর স্ত্রী ফাতেমা বেগম শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মঙ্গলবার (৪অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কিছু প্যাথলজিকাল টেস্ট দেন। হাসপাতালের প্যাথলজি বন্ধ থাকায় রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে টেস্ট করাবার উদ্দেশ্যে দায়িত্বরত নার্স নাজনীন আক্তারকে রোগীর শরীর থেকে রক্ত টেনে দিতে অনুরোধ করেন। দেড় ঘন্টা ধরে অনুরোধ করলেও নাজনীন আক্তার রক্ত টেনে না দিলে রোগীর কন্যা সাহায্য চেয়ে ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবুকে ফোন দেন। সাংবাদিক আশরাফুজ্জামান বাবু তখন দায়িত্বরত নার্সকে ফোনটা দিতে বলেন কথা বলার জন্য। কিন্তু নার্স জাহানারা বেগম অত্যান্ত রাগান্বিতপূর্ন আচরণ করেন এবং বলেন যে “আমি উনাকে চিনিনা, উনার সাথে কিসের জন্য কথা বলবো?” রোগীর লোকের শত অনুরোধেও তিনি কথা বলেননি এবং রক্তও টেনে দেননি।
সাংবাদিক আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, “উনার এই আচরণে আমি বিস্মিত হয়েছি। একজন সেবাদাত্রী নার্স এর সাথে কথা বলতে গেলে তার সাথে পরিচিত কেন হতে হবে? এধরণের অশোভন ব্যবহারে ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ শুধু আমার সাথেই নয়, বরং হাসপাতালে ভর্তি সাধারণ রোগী ও স্বজনদের সাথে এর চেয়েও বেশি দুর্ব্যবহারের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে চিকিৎসা সেবার মান ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে”। এ ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত নার্সদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের স্বজনদের সাথে ভদ্র মানবিক ও সহযোগিতামূলক আচরণ নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে দায়িত্বরত কারোরই এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুদ রানাকে ঘটনার বিষয় অবহিত করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি তো যশোরে আছি। এখান থেকে আমি কি করব? আপনি ইমারজেন্সিতে কথা বলুন।