কলকাতার বাবুঘাটে চলছে, জাগ্রত চামুন্ডা কালী সহ অন্যান্য কালী প্রতিমার বিসর্জন।
স্টাফ রিপোর্টার:: আজ ২৪ শে অক্টোবর শুক্রবার, কলকাতার বাবুঘাটে পুলিশি নজরদারী ও কে এম সির তত্ত্বাবধানে চলছে দুদিন যাবৎ কালী প্রতিমা নিরঞ্জন, সারা ঘাট জুড়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কে এম সির অফিসারেরা সতর্ক নজর রাখছেন, বারবার মাইকিং করে পূজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রতিমার সহিত বেশি লোক প্রবেশ করিবেন না এবং মহিলারা কেউ ঘাটে প্রবেশ করিবেন না, কিন্তু কিছু কিছু পুজো উদ্যোক্তা প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে দু একটি মহিলাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকছেন, পুলিশের তরফ থেকে বাধা দিলেও নিজেদের লোক বলে ঘাটে প্রবেশ করিয়ে নিচ্ছেন। তবে নদীর জলে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না , নদীর ধারেও পুলিশি পাহারা, ও কে এম সি লোকেরা সরিয়ে দিচ্ছেন সকলকে । বেলা দশটার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে কালী প্রতিমা নিরঞ্জন, অনেক ক্লাবের উদ্যোক্তা প্রসেশন করে বাজনা বাদ্দ্যি সহকারে প্রতিমা ঘাটে আনছেন, এবং পুলিশের নির্দেশ মতো একে একে প্রতিমা নিয়ে ঘাটে বিসর্জন করছেন। যাতে কোন রকম ভাবে গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয়, দু একটি পুজো উদ্যোক্তার ছেলেরা ঘাটে বাজি ফাটালে, সেখানেও পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ,কেউ ঘাটের মধ্যে বাজী ফাটাবেন না, বাধ্য হবো গ্রেপ্তার করতে, সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশো প্রতিমা বিসর্জন করতে বাবুঘাটে জমা হয়েছেন,
অন্যদিকে চেতলার নামকরা জাগ্রত চামুণ্ডা মা নিয়ে ঘাটে বিসর্জন করতে আসেন, এই চামুন্ডা মা বিসর্জনের সময়, ঘাটের সারা এলাকা পুলিশ দিয়ে ঘেরে রাখা হয়, অন্য কোন প্রতিমা বিসর্জন করতে দেয় না যতক্ষণ না এই মা বিসর্জন হয়। তাই ঘাটে চামুণ্ডা মা পৌঁছানো সাথে সাথে, চামুণ্ডা মাকে ঘাটের ভেতর ঢুকিয়ে সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে কোন রকম গন্ডগোল না ঘটে, এই চামুন আমাকে বিসর্জন করে যাওয়ার পর অন্যান্য প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। 
নদী দূষণ যাতে না ঘটে, তাহার জন্য কে এম সির কর্মীরা সর্বদায় সতর্ক রয়েছেন, প্রতিমা ফেলার সাথে সাথে, প্রতিমা গুলিকে জল থেকে ক্রেনের মাধ্যমে তুলে ডাঙায় একটি জায়গায় জমা করে রাখছেন।, এবং সেখান থেকে কেএম সির গাড়িতে তুলে অন্যত্র রেখে আসা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ মতো তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।।
এবং যাতে কোনরকম কোন অজানা বস্তু ঘাটে পড়ে না থাকে, তাহার জন্য গোয়েন্দা বিভাগ ও bom squad এর অফিসাররা মেটাল ডিরেক্টর দ্বারা ঘাটে চতুর্দিক পরীক্ষা করছেন। এবং মাঝে মাঝে কলকাতা পুলিশের সি পি অফিসার ঘুরে যাচ্ছেন প্রতিটি ঘাট। কিন্তু এই জাগ্রত চামুন্ডা কালী কে কখনোই কেনে সাহায্যে ডাঙ্গায় তুলে আনা হয় না, চামুন্ডা মাকে বিসর্জন করার সাথে সাথে, ক্লাবের উদ্যোক্তারা জলে নেমে, প্রতিমার গা থেকে মাটি খসিয়ে , কাঁচতে দিয়ে কেটে সমস্ত কিছু খড় দড়ি জলে ভাসিয়ে দেন, এই রীতি প্রতিবছর চলে আসছে, আর এই চামুন্ডা মার বিসর্জন দেখার জন্য, বিভিন্ন জায়গা থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন দর্শকরা, কখন চামুন্ডা আমাকে নিয়ে আসবেন এবং বিসর্জন দেবেন,
তবে দু একটি ছোট্ট ঘটনা ছাড়া, প্রতিমা নিরঞ্জন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে জানান।, সরকারের নির্দেশ মতো, সরকার তরফ থেকে সকল পূজো উদ্যোক্তাকে, শুভ শারদীয়া ও শুভ দীপাবলি এবং ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পূজো উদ্যোক্তারা বিসর্জন এর সময়, একটা কথাই বলছেন, আসছে বছর আবার হবে। রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ