মোহাম্মদ আলী,স্টাফ রির্পোর্টার।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দূর্গ চরাঞ্চলের (লেছড়াগঞ্জ, সুতালড়ি,আজিমনগর) তিনটি ইউনিয়নের অধিকাংশই ইতিপূর্বে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে,যতটুকু জায়গা বাকি ছিলো এর অধিকাংশ বর্তমান বিলুপ্তের পথে ও এখানকার মানুষের আতঙ্কে দিন কাটাছে।পদ্মায় গিলে খাচ্ছে হাজারো বসতভিটা,নিঃস্ব হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার তীব্র ভাঙনের ফলে দূর্গম চরাঞ্চলের বিশেষ করে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের চাষ্য যোগ্য আবাদী হাজারো বিগা জমি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।বর্তমানে পদ্মার ভাঙন সন্নিকটে আসার কারণে নিরুপায় হয়ে পড়ায় প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার চর থেকে নিরাপদ অন্যত্র জায়গা চলে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,আমাদের শেষ সম্বল বাপ-দাদার
ভিটা মাটি টুকুও পদ্মার ভাঙনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে,আমাদের এখন যাওয়ার জায়গা নেই,আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।
চরাঞ্চলের সর্বসাধারণ আপামর জনগনের দাবি, সরকার প্রধান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জেনো বিষয়টি খতিয়ে দেখে অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হান্নান মৃধা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়, একাধিক বার পানি উন্নয়ন বোর্ড কে আমরা অবজ্ঞত করেছি, এর কোন স্থায়ী সমাধান এখনো পাইনি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা সার্বিক সহযোগিতায় আমি কথা বলে যতটুকু সম্ভবত অসহায় -নিঃস্ব দূর্গম চরাঞ্চলের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনূর আক্তার মুঠোফোন সাংবাদিকদের জানায়, ভাঙনের বিষয়টি আমি অবজ্ঞত আছি, ইতিমধ্যে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানিয়েছি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কে মুঠোফোনে জিজ্ঞেসা করলে আমাদের জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।