মো:আরিফুল ইসলাম,চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর- শরিয়তপুর নৌ রুটের হরিনা ফেরিঘাট এলাকায় পার্কিং ইয়ার্ড ও এর আশেপাশে গড়ে উঠা অবকাঠামোর বেহাল দশা। দির্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত রয়েছে বিশ্রামাগার শৌচাগার এবং ক্যান্টিন সহ নানা অবকঠামো। দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকায় বর্তমানে সব কিছুই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পার্কিং এডের বিভিন্ন স্থানে বিশাল আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে এক একটা গর্ত পুকুরে পরিণত হয়। সংস্কারের অভাবে মাঠটি এখন প্রায় অব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাড়ি যানবাহন গুলা ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে মাঠে প্রবেশ না করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
শরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে দীর্ঘ পথ মারিয়ে ট্রাক চালকগণ যখন হরিণা ফেরিঘাট আসে তখন তাদের গোসল করতে নামতে হয় মেঘনা নদীতে। বিশ্রাম করার জন্য চায়ের দোকানের সামনের টেবিলেই একমাত্র ভরসা। এছাড়াও শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য যেতে হয় পাশের এলাকার মসজিদের শৌচাগারে কিংবা পার্শ্ববর্তী বাড়িতে।
দীর্ঘদিন ধরে এ পথ ব্যবহারকারী ট্রাকচালক আল আমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসতে নোয়াখালী লক্ষীপুর এবং চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকার সড়ক গুলো বেহালদশা রয়েছে। এছাড়াও শরীয়তপুর প্রান্তের বিভিন্ন স্থানেও একই অবস্থা। আমরা এই ঘাটে এসে অবস্থান করার পর মাঠে গর্তের কারণে মাঠে ট্রাক পার্কিং করা যাচ্ছে না। এছাড়াও আমাদের শৌচাগার এবং বিশ্রামের জন্য যে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটির বর্তমানের বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়াও একাদিক চালকগন জানিয়েছেন দ্রুত মাঠ ও শৌচাগার এবং বিশ্রামাগার সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হোক।
হরিনা ফেরিঘাট ইজারাদার মোঃ হারুন ছৈয়াল বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে এই ঘাট দিয়ে দিন দিন যানবাহন চলাচল কমে আসায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। ব্যক্তিগতভাবে নিজ অর্থায়নে সড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং পার্কিং মাঠে সংস্কার করেছি।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক বছির আলি খান জানিয়েছেন, হরিনা ফেরিঘাটের মাঠ এবং অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কারের জন্য আমরা মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা দিয়েছি। ইতিমধ্যে সেগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। এছাড়াও অবৈধ যে সকল দখলদার রয়েছে কমিটির মাধ্যমে তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য পক্রিয়া রয়েছে।