শিরোনাম
কুড়িগ্রামে সাংবা‌দিক আ‌রিফুল ইসলাম রিগানকে তু‌লে নি‌য়ে নির্যাতন ঘটনায় ডি‌সি সুলতানা ও তিন ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেটের বিরু‌দ্ধে চার্জশিট দা‌খিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার যেন সুবিচার পায়, সেজন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার সচিব সুলতানপুর ইউনাইটেড যুবসংঘ ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এর সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম (বুলু) ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন। গোয়াইনঘাটে দুর্বৃত্তরা দুই হাজার পান গাছ কেটে ফেলেছেন খাসিয়া সম্প্রদায়ের ছাতকে পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা সাময়িক বরখাস্ত রৌমারীতে হত্যা মামলায় ০৭ আসামি গ্রেফতার বোরহানউদ্দিনে লাগামহীন মাদকের বিস্তার: নীরব প্রশাসন শেরপুরের আওয়ামী সরকারের দোসর অবৈধ ধনকুবের আল-আমিন খোলস পাল্টাতে সক্রিয় পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান-নদী ভাঙ্গন কবলিত দুঃস্থ -অসহায় এলাকাবাসী হরিরামপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশেনের উদ্যোগে মসজিদের ইমাম,শিক্ষকদের সাথে গ্রাম আদালত সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

বোরহানউদ্দিনে লাগামহীন মাদকের বিস্তার: নীরব প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার / ৪২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দিনদিন বেড়েই চলেছে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। মাদকের নীল দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শত চেষ্টা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক বিরোধী র‍্যালী সেমিনার কোনো কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছেনা মাদকের ভয়াবহ বিস্তার।

মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তারে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন এই উপজেলার অভিভাবকরা।

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক প্রতিরোধ নিয়ে সবাই ভালো ভালো কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে এখন প্রকাশ্যেই চলছে মাদক বিক্রি। প্রশাসনের উদ্যোগ থাকলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে মাদকের বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।

মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মরণব্যাধি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল থাবা। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকের ভয়াবহতা। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে পুরো উপজেলার তরুণ যুবসমাজ ও কিশোররা। মাদকের ভয়াবহতায় উদ্বিগ্ন এই উপজেলার অভিবাবকরাও। ৫ই আগষ্টের আগে প্রশাসনের তৎপরতা থাকায় উপজেলায় মাদকের ভয়াবহতা কিছুটা কম থাকলেও সম্প্রতি আবার বেড়েছে মাদকের বিস্তার।

কয়েকটি সুত্র জানিয়েছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মাদক কারবারীরা মাদকের কেনাবেচা করে থাকে। এর মধ্যে পৌর শহরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদকের স্পট পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা রোড, আঃ জঃ কলেজ গেইট ও তৎসংলগ্ন এলাকা, উত্তর বাসষ্টান্ড, দক্ষিণ বাসষ্টান্ড, পঞ্চায়েত বাড়ির চৌরাস্তা, পৌর ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি বাজার, পৌর ১নং ওয়ার্ডের জয়া সড়ক, পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন কমিশনারের বাড়ির পাশে রয়েছে ২টি স্পট। এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের মানিকার হাট বাজারের পাশে একটি স্পট, কুতুবা ইউনিয়নের ছাগলা গ্রাম, পক্ষিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজার, টবগী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা, নতুন ও পুরান হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকা, হাসাননগর ইউনিয়নের খাসমহল, কাজীরহাট মনিরাম বাজার শিকদার হাট রোড সহ এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে।

সূত্রটি জানায়, বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র কুঞ্জেরহাট ও এর পাশে ফুলকাচিয়ায় রয়েছে ইয়াবা ও গাজার সবচেয়ে বড়স্পট আর এসব স্পটের নিয়ন্ত্রক ওই এলাকার প্রভাবশালী জ্বীন প্রতারকরা। এদের রয়েছে বেশ শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাত ধরে মাদকের চালান পৌছে যায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের হাতে। সুত্রটি জানায় এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে অটোরিকশা ড্রাইভার, মটরসাইকেল ড্রাইভার, এরা এই পেশায় কাজ করলেও এরা মাদক বহন করে নিরাপদে কাষ্টমারের কাছে মাদকের চালান পৌছে দেয়।

জানা যায়, ২০২৪ সালের (২২ডিসেম্বর) টবগী ইউনিয়নের হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকার মাদক বিক্রেতা ইউসুফ কে স্থানীয় জনতা মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে। একইদিনে টবগী ইউনিয়নের বেড়িবাধ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামে ঐ এলাকার এক মাদক বিক্রেতা ইয়াবা ডেলিভারি দিতে আসলে স্থানীয় লোকজন দাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে যায়। এছাড়াও গত ১০ জুলাই ২০২৫ নতুন হাকিমুউদ্দিন বাজারে মামুন নামে একজনকে গাঁজা সহ স্হানীয়রা হাতেনাতে ধরে পরে তাকে মারধর করে ছেড়ে দেন।

এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পেড়ে বাবা- মায়ের কাছে টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে অভিমান করে আত্নহত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মাদকাসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা।

পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করে মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে যুবসমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন এখানকার সচেতন মহল।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ