মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ভৈরবে ধর্ষণ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি বাবুল মিয়াকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে ভৈরব থানার সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ধর্ষণের অভিযোগকারী স্বপ্না বেগম, তার শাশুড়ি নাজমা বেগমসহ স্থানীয় নারী-পুরুষরা। তারা অভিযোগ করেন, রবিবার (২০ জুলাই) শহরের চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার একটি অটোরিকশা গ্যারেজ থেকে মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, আসামিকে ছেড়ে দেওয়ায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এ ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
স্বপ্না বেগম (বাদী): “আমার জীবনের নিরাপত্তা নাই, আসামিকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আমি বিচার চাই।”
নাজমা বেগম (শাশুড়ি): “আমার ছেলের বউয়ের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, কিন্তু থানার পুলিশ আসামির পাশে দাঁড়িয়েছে!”
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মো. ফুয়াদ রোহানী সাংবাদিকদের বলেন,
“আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৭ জুন (মঙ্গলবার) ভৈরব উপজেলার কালিপুর গ্রামে ননদের স্বামী বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তবে ওই দিন ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ ভিকটিমের পরিবারের। পরে ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলা দায়ের করেন ভিকটিম।