মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ভৈরবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। যন্ত্রপাতি থাকলে ও পরীক্ষা – নীরিক্ষা করা হচ্ছেনা । বাহিরে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ ও সময় অপচয় করে করতে হচ্ছে পরীক্ষা – নীরিক্ষা । হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসক থাকলে ও কেউই ঠিক সময়ে চেম্বারে আসেন না। আবার কেউ কেউ চেম্বারে সকাল ১০ টার পর চেম্বারে এলে ও দুপুর আড়াইটার আগেই চেম্বার ছেড়ে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা । তাছাড়া চিকিৎসক ও ঔষধ সংকটে দূর্ভোগে পড়েছে রোগীরা । রোগী ও এলাকাবাসিদের দাবী দূর্ভোগ লাঘবে সরকার দ্রƒত চিকিৎসক নিয়োগ ও ঔষধ সরবরাহ করে স্বাস্থ্য সেবার মান বজায় রাখবে । তবে চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপ্ক্ষ জানিয়েছেন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে । চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতাল । এ হাসপাতালটিতে শুধূ ভৈরব নয়,পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর,আশুগঞ্জ,বেলাব,রায়পুরা থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বহিঃবিভাগে প্রতিদিন দেড়শ/২শ এবং আন্তঃবিভাগে ৭০/৮০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন । কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসক ও ঔষধ সংকটে দূভোর্গে পড়েছে রোগীরা । পাশাপাশি এক্স-রে,আলট্রাসনোগ্রাম ও রক্ত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাহিরে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ও ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে করাতে হচ্ছে । তাই দূভোর্গ থেকে রেহাই পেতে চান রোগীরা ।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি শহরের চন্ডিবের গ্রামে অবস্থিত । এ হাসপাতালটি ১৯৬৪ সালে ১০ শয্যা হাসপাতাল হিসেবে চালু হয় । পরবর্তীতে ৩১ শয্যা এবং ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণ করা হয় ।এরপর বিগত ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ সরকার এটিকে ১শ শয্যায় অবকাঠামোগত উন্নত করণ করলে ও প্রশাসনিক অনুমোদন না থাকায় ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলে ও ৫০ শয্যার ও চিকিৎসক নেই ।৫০ শয্যার হাসপাতাল অনুযায়ী হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কাগজে পত্রে মাত্র ৭ জন চিকিৎসক । ৭ জনের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক প্রেষনে অন্যত্র রয়েছেন । বাকি ৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন । ৪ জন চিকিৎসক ও সময় মতো চেম্বারে আসেন না । অধিকাংশ সময় ও তারা দেরী করে চেম্বারে আসেন । তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চক্ষু,নাক,কান গলা,অর্থপেডিক ও চর্ম ও যৌন কনসালটেন্ট না থাকায় রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেননা । তাছাড়া শিশু কনসালটেন্ট কাগজে পত্রে থাকলে ও তিনি ও প্রেষণে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় শিশুরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে ও চিকিৎসা নিতে পারছেননা । তাছাড়া এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম এবং আলট্রসনোগ্রামের লোক না থাকায় রোগীরা বাইরে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে । তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের চিকিৎসক ও নেই । ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা ও দূভোর্গে পড়েছে । পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে বেশির ভাগ রোগীরাই ঔষধ সরবরাহ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে ।
এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী শফিকুল ইসলাম জানান,গত কয়েক মাস ধরে তিনি হাসপাতালে এসে ডায়াবেটিসের ঔষধ পাচ্ছেননা । তাছাড়া ডাক্তার ও দেখাতে পারছেননা । চেম্বারে ডাক্তার নেই ও ঔষধ নেই । এভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । একই কথা জানালেন খাদিজা সহ অনেক রোগী ও স্বজনরা তারা আরো বলেন, শুধু ডাক্তার ঔষধ সমস্যায় নয় । পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও করাতে হচ্ছে বাহিরে ক্লিনিক থেকে । যে কয়জন ডাক্তার আছেন ্ তারা ও সময় মতো চেম্বারে আসেন না । সকাল বেলা ১০ টার পর চেম্বারে আসেন বেলা ১ টা বাজতেই চেম্বার ছেড়ে চলে যান । এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে । অখচ ডাক্তাররা ৯ টায় ্এসে ২ টার পর চেম্বার ছেড়ে যাওয়ার কথা ।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আঃ করিম চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন । চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । হাসপাতালে। ৭ জনের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক প্রেষনে অন্যত্র রয়েছেন । বাকি ৪ জন চিকিৎসা দিচ্ছেন । তাছাড়াদীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চক্ষু,নাক,কান গলা,অর্থপেডিক ও চর্ম ও যৌন কনসালটেন্ট না থাকায় রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেননা । তাছাড়া শিশু কনসালটেন্ট কাগজে পত্রে থাকলে ও তিনি ও প্রেষণে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় শিশুরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে ও চিকিৎসা নিতে পারছেন না ।