সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় মসজিদের খতিব, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আ.ন. ম নুরুর রহমান মাদানীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এক মুসল্লী। ১১ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ওই এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর জখম খতিব আ. ন. ম নুরুর রহমান মাদানী চাঁদপুর ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারী বিল্লালকে গণধোলাই দিয়ে মসজিদে আটকে রাখে মুসল্লীরা। পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ হামলাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুসল্লীরা জানায়, জুমার নামাজ শেষে মুসল্লীরা ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ করেই হামলাকারী বিল্লাল খতিব আ.ন.ম নুরুর রহমান মাদানীকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্তত জখম করে। পরে স্থানীয় মুসল্লীরা ইমাম সাহেব কে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময়ে হামলাকারীকে মুসল্লীরা উত্তম-মধ্যম দিয়ে মসজিদের বারান্দায় আটকে রাখে। খবর পেয়ে শত শত মুসল্লী এসে মসজিদ ঘেরাও করে রাখে। হামলাকারী কে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
হামলাকারী বিল্লাল সাংবাদিকদের জানান, আমার নবীজিকে অবহেলা করে কথা বলেছেন ইমাম সাহেব। এর জন্য তার উপর হামলা করেছি। তবে আইন নিজের হাতে নেয়া ঠিক হয়নি।
বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা জানান, হামলাকারী বিল্লাল জঙ্গি টাইপের লোক, নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাওহীদের সদস্য। সে ইমাম সাহেবকে হামলা করার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই মসজিদে চাপাতি নিয়ে এসেছেন। তার আঘাতে ইমাম সাহেবের এক কান কেটে গেছে। এছাড়া গলায় জখম হয়েছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া জানান, আটক বিল্লাল একজন তরকারী ব্যবসায়ী। জুমার খুতবায় ইমামের বক্তব্য তার মনের মতো না হওয়ায় ইমামকে সে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।