স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে বালুদস্যুদের থাবায় বসতভিটা ও বাগান হারিয়ে বিপাকে রয়েছেন আবুল হাসেম নামে এক ভূমিহীন ও হতদরিদ্র পরিবার। আবুল হাসেম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কুতুবেকুড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল গনির ছেলে। জানা গেছে, আবুল হাসেম কুতুবেকুড়া চেল্লাখালি নদীর পাড়ে সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত জমিতে ঘর-বাড়ী নির্মাণ করে বসবাসের পাশাপাশি ১০ শতাংশ জমিতে এক কাঠ বাগান গড়ে তুলেন। এ বসতঘর ও কাঠ বাগানটিই আবুল হাসেমের বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। ১ ছেলে ২ মেয়েসহ ৫ সদস্যের পরিবার তার। আবুল হাসেম ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করে পরিবারের লোকজনের ভরনপোষণ যুগিয়ে আসছিলেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলে পরিবার পরিজন নিয়ে ওই বাড়িতেই অবস্থান করেন। আবুল হাসেমর অভিযোগ তিনি বাড়িতে না থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় বালুদস্যু তার বাড়ির সামনে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে। নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে আবুল হাসেমের একটি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। শুধু তাই নয় আবুল হাসেমের রোপণকৃত কাঠ বাগানটির সিংহভাগ চলে গেছে নদী গর্ভে। আবুল হাসেম জানান, প্রভাবশালী বালুদস্যুদের বাঁধা নিষেধের পাশাপাশি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কাজে আসেনি। নিরুপায় হয়ে আবুল হাসেম গত প্রায় তিন মাস পুর্বে শেরপুর সিআর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নালিতাবাড়ী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাবশালী বালুদস্যু বিবাদীদের পক্ষাশৃত হয়ে দীর্ঘ ৩ মাসেও প্রতিবেদন দাখিল করেননি বলে অভিযোগ করেন আবুল হাসেম। বর্তমানে আবৃল হাসেন বিচারের আশায় সমাজ প্রতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে । এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি বিবাদিদের পক্ষাশৃত হয়নি। সময়ের অভাবে প্রতিবেদনটি পাঠাতে দেড়ি হয়েছে। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন সত্য ঘটনাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।