স্টাফ রিপোর্টার:
শনিবার ( ২১ জুন ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)’র একটি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিপিআইএ) এর সভাপতি শাহ হাবীবুল হক ও সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব খন্দকার মোঃ মহসিন।
সভার সভাপতি শাহ হাবীবুল হক বলেন, এই সভা শুধু একটি প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠিনিকতা নয় বরং এটি আমাদের সম্মিলিত স্বপ্ন, সংগ্রাম, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নির্ধারণের একটি মঞ্চ। পোল্ট্রি শিল্প শুধু একটি অর্থনৈতিক খাত নয়, এটি কোটি মানুষের পুষ্টির নিশ্চয়তা, লক্ষ্য পরিবারের কর্মসংস্থান এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। এই স্তম্ভে খামারি, ফিড উৎপাদক, হ্যাচারী মালিক ও কাঁচামাল সরবরাহকারীরা এই সম্মিলিত যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে ডিম ও মুরগির মূল্য নির্ধারণ, সিড ও কাঁচামাল দাম স্থিতিশীল রাখা, উৎপাদন খরচ কমাতে করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া, কুমিল্লা ফেনী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের ঋণের সহায়তা প্রদান, ট্যাক্স ও ভ্যাট হ্রাসে পুন: মূল্যায়নের সুপারিশ ও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে কাজ করার দাবি করেন। এই ব্যাবসার চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আগামী দিনে কিছু স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে তিনি বলেন, একটি একীভুত পোল্ট্রি নীতিমালা যা খামার, ফিড, হ্যাচারি ও সরবরাহ ব্যবহার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে এবং পোল্ট্রি খামারিদের লোকশান থেকে রক্ষা করবে। মানসম্মত জাত, টেকসই ফিড ফর্মুলা ও রোগ প্রতিরোধ আধুনিক সমাধান বের করা। হালাল চিকেন ও ডিম রপ্তানির ব্যবহার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার আহ্বান করেন শাহ হাবীবুল হক।
সভায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিপিআইএ) এর সকল নেতৃবৃন্দ, সদস্য, পোল্ট্রি খামার মালিকগন, ফীড মালিক, হ্যাচারী মালিকগণ, কাঁচামাল সরবরাহকারীবৃন্দ ও এই শিল্পের অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।