সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
বোরহানউদ্দিনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে -ওয়ার্ড নেতার কবজি কাটার ঘটনায় ইউনিয়ন সভাপতির কার্যক্রম স্থগিত
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড সভাপতির হাতের কবজি কেটে নেওয়ার ঘটনায় বিএনপির দেউলা ইউনিয়ন শাখার সভাপতির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানা ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মো. আজম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং সংঘর্ষের সময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করায় দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেন ব্যাপারীর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
এ ছাড়া তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কিংবা সদস্যসচিব বরাবর লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছেলে দেউলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব ব্যাপারীকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল উপজেলা ছাত্রদল।
উল্লেখ্য – গত ( রবিবার ১৫ জুন ২০২৫) বিকেলে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দেউলা ইউনিয়নের মজম বাজারে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সময় দেউলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন এবং তাঁর হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়।
আহত আনিসুর রহমানকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল নেওয়া হয় পরে অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন।
অভিযোগ রয়েছে, এ হামলায় সরাসরি অংশ নেন দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ছেলে রাকিব ব্যাপারী।
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং দলীয় হাইকমান্ডের দিক থেকেও এইরকম উশৃঙ্খল ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।