সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
“পাংশায় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ” শিরোনামে গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজবাড়ী সার্কেল ও নয়া বাংলাদেশ নামে দুইটি ফেসবুকে পেজে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।রাত থেকে প্রতিবেদকরা তাদের নিজেদের নামের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার দিয়েছিলো।তবে সেগুলো কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে মুছে (ডিলিট) দেওয়া হয়। তবে রাজবাড়ীর স্থানীয় দৈনিক একুশের কথা পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনে নিউজ টি এখনো রয়ে গেছে।
ওই সংবাদে প্রতিবেদক উল্লেখ্য করেন,পাংশায় প্রকৃত কৃষক ছাড়াই প্রবাসী, ব্যবসায়ী, এনজিও পরিচালক, গৃহিনী, মুদি দোকানী, ভ্যান চালক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন প্রকৃত কৃষকরা।
তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পিএফএস সদস্য (অন্তত ৫ জন নারী) ৩৫ জন,নন-পিএসএস কৃষক-কিষার্ণি (অন্তত ৫ জন নারী) ৩৫ জন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান,সদর ইউপি চেয়ারম্যান) ৫ জন,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ৫ জন, গণমাধ্যম কর্মী/সাংবাদিক ৫ জন, সরকারি কর্মকর্তা (৫ জন এসএএও,ডিএই সহ) ১০ জন ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ৫ জন মোট ১০০ জন পার্টনার কংগ্রেস অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সেখানে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কংগ্রেস প্রশিক্ষণে কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি, কৃষি পণ্যের টেকসই ভ্যালুচেইন সৃষ্টি, অধিক ফলন উৎপাদন, প্রযুক্তি ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলজ ও সবজি খামার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা কথা বলা হয়।
কংগ্রেসে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ কারীরা প্রত্যেকের জন্য ৫০০ টাকা সম্মানি ও দুপুরের খাবারের বরাদ্দ উল্লেখ্য করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
পাংশা উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে,গত ২৬ মে সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উক্ত পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব শ্রেণীর ১০০ জন ব্যক্তিদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষকদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রত্যেকে একটি ফাইল,খাতা ও কলম দেওয়া হয়। দুপুরে প্রত্যেকে এক প্যাকেট বিরানি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ৫০০ টাকা সম্মানি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন,আমি সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীর ১০০ জন ব্যক্তি নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস প্রশিক্ষণ করেছিলাম।সেখানে সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী খাতা,কল, খাবার ও সম্মানি দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে মাত্র ৫ জন গণমাধ্যম কর্মী রাখার কথা ছিলো। এজন্য পাংশা উপজেলার সকল গণমাধ্যম কর্মীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন, আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।