ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে শনিবার (৩১শে মে) শহরের কলেজ মোড়স্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আজাদুর রহমান খান আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) এবং বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম সোহেলের সঞ্চালনা বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান সরদার এনামুল হক এলিন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল হোসেন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান খান আনিচ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ তকদির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিটন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন অর রশিদ, আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা এডভোকেট মোঃ ফয়সাল হোসেন খান, নলছিটি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তৌহিদ আলম মান্না, সদস্য সচিব সাইদুল কবির রান্না, নলছিটি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ রাসেল, মোঃ মিরাজ প্রমুখ।
এসময় সদর উপজেলার ১নং গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ হুমায়ূন কবির, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হক টুটুল, প্রচার সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন হাওলাদারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছি। এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য মহান এই নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। স্বেচ্ছাশ্রমে খাল কেটে সেচ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আধুনিক ও উন্নত কৃষি প্রযুক্তি প্রচলন করেছিলেন।”
প্রতি বছর ৩ শে মে দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো।
এ বছর এ উপলক্ষে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে – আলোচনা সভা, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ও তার পরিবার বর্গের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়।