শিরোনাম
ছাতক সীমান্ত দিয়ে পুশইন ১৬ নাগরিককে পরিবার ও স্বজনের কাছে হস্তান্তর   জোড়াগেটে কোরবানির পশুরহাট উদ্বোধন ভোলায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস খুলনায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন সুনামগঞ্জে বিজিবি”র অভিযানে দুইকোটি তিনলাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্যসামগ্রী জব্দ দাকোপে কুমিরের আক্রমনে মহিলা আহত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গভীররাতে টিলার মাটি ধসে, একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যু হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো ডলফিন মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ নড়াইলে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় মানের শিশু অলিম্পিয়াড-২০২৫।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

কয়রায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে স্থানীয়রা

স্টাফ রিপোর্টার / ২১ Time View
Update : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

খুলনা প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের কারণে কয়রা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভাঙ্গার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে ভাঙন ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে মিলে স্থানীয়রা কাজ করছে। কয়রা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরে জোয়ারের পানির ধাক্কায় ভোরে বেড়িবাঁধের কিছু অংশের স্লাপ ভেঙে যায় এবং ফাটল ধরে। এতে নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আশপাশের ফসলি জমি ও মাছের ঘের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাতে অস্বাভাবিক উচ্চতায় পানি আসে। পরদিন ভোরে পানি নামতে শুরু করলে হরিণখোলা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বেড়িবাঁধে বড় ধরনের ফাটল দেখা যায়। ধস ঠেকাতে নিজেরাই কাজ শুরু করেছি। স্থানীয় আল শাহরিয়ার বলেন, রাতের জোয়ারের পানির ধাক্কায় বাঁধের অনেক অংশে ফাটল ধরে। জিও ব্যাগ দিয়ে এবং রিং বেধে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে। নইলে রাস্তাসহ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনি শংকর রায় জানান, ভাঙন ঠেকাতে রিং বাঁধ বেঁধে মোটামোটি ভাঙন আটকানো হয়েছে। তবে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখনও ভাঙন ঠেকাতে কাজ চলছে। সকলের উদ্যোগে এ বাঁধ টেকসই করতে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপের কারণে অস্বাভাবিক জোয়ার থাকায় কিছু অংশে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে স্থায়ী সংস্কারকাজ শুরু হবে। কয়রা উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, বাঁধ এখনো ভেঙে যায়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছে।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ