খুলনা প্রতিনিধি:
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নিতে না পেরে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা কিনারে ফিরে এসেছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির পানি জমে মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, জেলেরা ফিরছে কিনারে।মোংলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হারুন আর রশিদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরে জোয়ার ও টানা বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনও মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের চলাচল ও জীবনযাত্রা। ঘর থেকে বের হতে না পেরে দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে চিংড়ি ঘের ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তল, তার মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে জেলেরা সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে না পারায় ট্রলার, জাল-নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু বাতাসের তোড়ে সেখানেও টিকতে না পেরে কিনারে ফিরে আসছেন জেলেরা। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস ছাড়াও বিরাজ করছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, মোংলা সমুদ্রবন্দরে একটি খাদ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। এছাড়া সারবাহীসহ ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ বর্তমানে বন্দরে অবস্থান করছে। জাহাজের পণ্য খালাস কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের জেটি এলাকায় সব পণ্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে মোংলা উপকূলীয় এলাকার মানুষের। কোস্টগার্ড সদস্যরা, নৌবাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ও বোট নিয়ে টহল অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ঝড় এলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।