শিরোনাম
সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিলেন কাজী আখতার উল আলম সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত।  সুনামগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে” জেলার চোরাকারবারি, মাদকসহ সবধরনের অপরাধ দমন করার আশ্বাস প্রদান করেন—নবাগত পুলিশ সুপার   বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে দিরাই বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা সভা সুনামগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল ও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন সুনামগঞ্জে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এড.নুরুল ইসলাম নুরুল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মানিকগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মল্লিকপুর বগি লাইনচ্যুত: তেলবাহী ওয়াগন ছিলো খালি তাই হয়নি ক্ষয়ক্ষতি  বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে তালহা রেস্ট হাউজে ডিবির অ ভি যা ন ৫ জন গ্রে ফ তা র
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

১৬ বছরের জমি মামলায় শেষে, ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবি করে সংবাদ সম্মেলন 

স্টাফ রিপোর্টার / ৬৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার বাসিন্দা মোঃ আইনুল হক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একটি জমি মামলা নিয়ে চরম হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হন। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৯ মে তারিখে আদালতের রায়ে আপিল খারিজ হওয়ার মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার লাভ করেন। এ ঘটনায় তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মোঃ আইনুল হক লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার জমির মূল মালিক ছিলেন ত্রৈলক্ষনাথ ভট্টাচার্য ও কাশীমোহন ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে ত্রৈলক্ষনাথের স্ত্রী কুসুম কুমারী দেব্যা ১৯৫৫ সালে ২ একর জমি মোঃ ফোরকান উল্লাহর নামে পাট্টা দলিল দেন, যার একটি দাগ ৪১৮৭ ছিল। ঐ দাগে থাকা পারিবারিক শিবমন্দিরের ৪ শতক বাদ দিয়ে বাকি ২৪ শতক জমি ফোরকান উল্লাহ ভোগ করেন এবং সেই জমি পরে ফজলুল হক ও আইনুল হক ১৯৭৪ সালে দলিল মূলে মালিকানা অর্জন করেন।

২০০৮ সালে রনজিৎ মোহন্ত, কালীপদ সেন ও পুতুল সেন নামে তিন ব্যক্তি এই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন এক সময় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু আপসের কথা বলে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য সাময়িকভাবে ২-৩ শতক জমি ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পূজা শেষে জমি ফেরত না দিয়ে দখলে নিয়ে সেখানে স্থায়ী ঘর নির্মাণ শুরু করে দেন অভিযোগকারীরা।

মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালে মূল মামলায় আদালতের রায় মোঃ আইনুল হকের পক্ষে আসে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা পরবর্তীতে জেলা জজ কোর্টে আপিল করেন এবং আপিল চলাকালীন সময়েও একাধিকবার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যান। এমনকি ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে।অবশেষে ১৯ মে ২০২৫ সালে আপিল মামলায়ও আদালত বাদীদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

মোঃ আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৬ বছর ধরে আমি হয়রানি ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। মামলার খরচ, নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্মানহানির মুখে পড়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।” সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ