শেরপুর প্রতিনিধি:
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিটের দরবেশতলা এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে আজিজুল ইসলাম আকাশ (৪২) নামে এক দিনমজুর ও এফিলিস মারাক (৪৫) নামে আরও এক আদিবাসী মিলে দুইজন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৯টা ও সাড়ে দশটার দিকে ঝিনাইগাতী গজনী-বাকাকুড়া রোড়ে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আজিজুল ইসলাম আকাশ গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং এফিলিস বড় গজনী গ্রামের সোহান মারাকের ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে একদল বন্যহাতি বড় গজনী এলাকার একটি লিচু বাগানে হানা দেয়। এসময় স্থানীয়রা মশাল ও সার্চ লাইট জালিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে হাতির দলটি তাড়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রাত নয়টার দিকে হাতির তাড়া খেয়ে সবাই দৌড়ে পালালেও আজিজুল ইসলাম আকাশ পা ছিলে পড়ে যান। এসময় বন্যহাতি তাকে শুঁড়ে পেচিয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে হত্যা করে।
অন্যদিকে রাত সাড়ে দশটার দিকে এফিলিসসহ স্থানীয় চার কৃষক বাকাকুড়া এলাকা থেকে বড় গজনীর দিকে আসছিলেন। এসময় শালবনে থাকা বন্যহাতির দল আকস্মিক তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা দৌড়ে বাঁচতে পারলেও এফিলিসকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ও পায়ে পিষ্ট করে ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আশরাফুল আলম রাসেল, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাহান আকন্দ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা,কাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান,ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আল-আমীন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ সংগঠক লুৎফর রহমান লাজু, হাসপাতালে এসে নিহতের খুঁজ নেওয়া সহ নিহতদের পরিবার কে সমবেদনা জানান।
আশরাফুল আলম রাসেল (ইউএনও) হাতি তাড়ানো জন্য ৫০ লিটার তেল ক্রয় বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করেন।