পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় আমখোলা ইউনিয়নে রামানন্দ গ্রামে হাজী আনোয়ার আলী সিকদার (দরবেশ)বাড়ির মৃত জব্বার সিকদার এর পূত্রগনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব এখন চরমে।জোর পূর্বক গাছ কেটে নেওয়ায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। ওয়ারিশ ছাড়াও মসজিদের নামে দানকৃত জমির ফসল,গাছ-মাছ ভোগদখল করার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৬ মে আঠারোগাছিয়ার গেরাবুনিয়া মৌজার ৫৬ নম্বর খতিয়ানে বিরোধীয় জমির বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ কেটে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীর সিকদার।ঐ গাছ গুলো মসজিদের নামে দান করা সম্পত্তি ও এর অন্য তিন ভাইয়ের বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। মৃত হাজী আনোয়ার আলী সিকদার (দরবেশ)দান করা জমি দুটি পৃথক জেলার পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলা (আমতলী ও গলাচিপা) থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে।আপোষ মিমাংসা শর্তে একাধিক বার সমাধানের চেষ্টা করেছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিষয়টি নিয়ে মো:জাফর সিকদার জানান,”পূর্ব শত্রুতার জেরে গেরাবুনিয়া মৌজার ৫৬ নং খতিয়ান সহ অন্যান্য খতিয়ানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।সুযোগ বুজে বিরোধীয় ভুমির গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে।তিনি আরও বলেন ‘৯৯৯ এ কল করলে বিরোধীয় ভূমিতে পুলিশ আসে এবং গাছ কাটায় বাধাদেয় কিন্তু পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তার ইচ্ছা মত জবরদখল করে যাচ্ছে’ আমার ভাইয়ের মধ্যে সহমত থাকলেও মেঝ ভাই জাহাঙ্গীর এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছে। এমন কি বাবা-মায়ের সাথে ওর সম্পর্ক নেই”।
রামানন্দ গ্রামে দরবেশ বাড়ির জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম আ:কাদের সিকদার জানায়,সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে মসজিদের তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি জাহাঙ্গীর জবরদখল করে গাছ-মাছ ও ফসল ভোগ করছেন। তার সাথে কথা বলার সাহস কারো নেই।
অবৈধ ভাবে গাছ কেটে নেওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মো:জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, তিনি মসজিদ কমিটির সাথে চাষের জমি পরিবর্তন করেছেন এবং সেই পরিবর্তন করা জায়গার গাছ কেটে নিয়েছেন।কারো ব্যাক্তিগত জমির গাছ তিনি কাটেনি। তবে জমি পরিবর্তন এর কোন সত্যতা দেখাতে পারেনি।