শিরোনাম
ভারতের বন্দর দিয়ে আর এ দেশে ঢুকবে না বাংলাদেশি পোশাক ও খাবার নির্দেশিকা জারি মোদী সরকারের দেবীদ্বারে স্বর্ণের দোকান থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণ কুমিল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে দম্পতি আটক “ কয়েলের ধোঁয়া কি সিগারেটের ধোঁয়ার মতো ফুসফুসের ক্ষতি করে❓ ছাতক থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীসহ গ্রেফতার ৩ জন সালথা য় কৃষকদের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। সাংবাদিক কামাল হুসেনের উপর মাদক ব্যাবসায়ীদের হামলায় টাঙ্গাইলে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। অনিয়মে জর্জরিত কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় দ্বন্দ্ব নিরসনেও আতঙ্কে পুরো পরিবার জোর পূর্বক গাছ কাটা নিয়ে নতুন ক্ষোভে! হবিগঞ্জ থেকে নাসিরনগরের রোকিয়া হত্যার আসামী গ্রেপ্তার 
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

কয়েলের ধোঁয়া কি সিগারেটের ধোঁয়ার মতো ফুসফুসের ক্ষতি করে❓

স্টাফ রিপোর্টার / ২৭ Time View
Update : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

ক্রাইম প্রতিবাদেক:

মনে আছে মরটিন কয়েলের কথা? কিংবা গুডনাইট বা এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড কয়েল? এত বিখ্যাত কোম্পানির কয়েল অনেকদিন ধরে এদের দেখছেন না, তাই তো? এর কারণ কী ভেবেছেন? এর কারণ হচ্ছে এরা কয়েল উৎপাদনের নীতিমালা মেনে তা উৎপাদন করতো।

 

মশার কয়েলে যে কার্যকর উপাদান থাকে এর মধ্যে আছে পাইরিথ্রাম, পাইরিথ্রিন, অ্যালেথ্রিন, এসবায়োথ্রিন ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব নির্দিষ্ট অনুপাত ও পরিমাণে ব্যবহার করে কয়েল উৎপাদনের নীতিমালা রয়েছে। এসব কয়েলের কাজ হচ্ছে মশা নক-আউট তথা বেহুশ করে ফেলা বা বিতাড়িত করা, মারা নয়! অর্থাৎ নির্দিষ্ট অনুপাতে উপাদান থাকলে কয়েলের ধোঁয়া স্বাভাবিকভাবে মানুষের জন্য বিষাক্ত ধরা হয়না।

 

তবে দিনে দিনে ঢাকা সহ সারাদেশে মশার বেপরোয়া বিস্তার আর অসামান্য বীরত্বের কারণে সেসব কয়েলে মানুষ হাতে হাতে ফল পচ্ছিলো না। দেখা গিয়েছে কয়েল জ্বালিয়ে রাখলে ওই কয়েলের পাশেই বা উপরে বসে আছে মশা! মানুষ যখন দেখলো এই কয়েলে মশা “মরে” না তখন তাঁরা খুঁজতে লাগলো কার্যকরী কয়েল, অর্থাৎ যেই কয়েল মশা তাড়াবে না বরং মেরেই ফেলবে। সুতরাং ভোক্তার চাহিদার কথা ভেবে গড়ে উঠলো কিলার, ফাইটার, বস, এটাক, সুপার হিট, আম পাতা, জাম পাতা, কাঁঠাল পাতা ইত্যাদি ইত্যাদি নামের অসংখ্য অবৈধ কয়েল তৈরির কারখানা। এরা তখন মনের মাধুরি মিশিয়ে ইচ্ছামতো উপাদান যোগ করে তৈরি করলো কয়েল, আর এর ধোঁয়ায় শুধু মশা না ঘরের অন্যান্য পোকা, তেলাপোকা আর টিকটিকিও মরে সাফ! আর মানুষের তো নাক-চোখের পানি একাকার! কিন্তু তাতে কী, মশা তো মরছে!

 

এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, যদি কয়েলে ক্ষতিকর রাসায়নিক/বিষ অবৈধভাবে ৩ থেকে ১৪ গুণ বেশি বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে এটা আপনার ফুসফুস তথা পুরো শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিনা। অনেক কয়েল তো এক রাতে অন্তত ৫০-১০০টা সিগারেটের সমান ধোঁয়া উৎপাদন করে। তবে মানুষ বাজারে গিয়ে খোঁজে এগুলোই। এসব অবৈধ কারখানার জন্য বাজার হারিয়ে উৎপাদন বন্ধ করেছে বৈধ বড়ো কোম্পানিগুলো। কিছু করার নেই, আমজনতা সবখানে নগদ লাভ খোঁজে।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ